অস্ট্রেলিয়া থেকে সম্প্রচারিত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের একটি বার্তা কানাডায় ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কানাডার সরকারের সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি। বাকস্বাধীনতার কথা বলে কানাডায় ভণ্ডামি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর।
অভিযোগ উঠেছে, সেই সংবাদ সম্মেলনের ক্লিপটি কানাডায় ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে।
মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি। এসব করে বাকস্বাধীনতা নিয়ে কানাডার ভণ্ডামি আবারও প্রকাশ পাচ্ছে।
ক্যানবেরা থেকে সংবাদ সম্মেলনে মূলত কানাডার সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক শীতল সম্পর্কের কথাই উঠে এসেছিল জয়শঙ্করের কথায়। তিনি জানিয়েছিলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ তুলছে কানাডা। সে দেশে ভারতীয় কূটনীতিকদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার মতে, এটি কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।
অস্থায়ী শিবির বন্ধ
এদিকে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তাজনিত কারণে বেশ কিছু অস্থায়ী শিবির বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টরন্টোয় অবস্থিত ভারতীয় উপদূতাবাস।
কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে বেশ টলমল। খালিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ছাড়া সম্প্রতি কানাডার ব্রাম্পটনে একটি মন্দিরের সামনে হামলা হয়েছে। ওই ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছিল খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। হামলার নিন্দা জানিয়েছিল ভারত। কানাডার প্রশাসনকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য।
ব্রাম্পটনের ওই মন্দিরের বাইরেও ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবির খোলা হয়েছিল। সেখানে খলিস্তানপন্থীদের হামলার অভিযোগের আবহেই টরন্টো উপদূতাবাস বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী শিবির আপাতত বন্ধ করে দিল। অস্ট্রেলিয়া সফরকালেই জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা