যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস-এর কাছে আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এসময় হাইকমিশনারের সঙ্গে উপ-হাইকমিশনার হযরত আলী খানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রীতি অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রা সেন্ট জেমসেস কোর্ট থেকে শুরু হয়। সেখান থেকে বাকিংহাম প্যালেসে-এর কর্মকর্তারা হাইকমিশনারকে একটি উন্মুক্ত ঘোড়ার গাড়িতে করে প্রাসাদ পর্যন্ত নিয়ে যান। এসময় হাইকমিশনের অন্য কর্মকর্তারা পৃথক একটি গাড়িতে করে হাইকমিশনারকে বহনকারী উন্মুক্ত ঘোড়ার গাড়িকে অনুসরণ করেন।
প্রাসাদে পৌঁছানোর পর কাউন্টেস অব অ্যারান, লেডি মার্গারেট ডগলাস এবং বাকিংহাম প্যালেস-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাইকমিশনারকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। প্রথা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা শেষে, ডিপ্লোমেটিক কোর-এর মার্শালের নেতৃত্বে হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম রাজা তৃতীয় চার্লস-এর নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন।
এসময় তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয় এবং অর্থবহ আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে হাইকমিশনার রাজা চার্লসকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানান।
রাজা চার্লস অধ্যাপক ইউনূসকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং তার দাতব্য সংস্থা ও গ্রামীণ ব্যাংকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আরও জানান যে, একসময় তিনি বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু রাণী এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের প্রয়াণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। সময়সূচি অনুকূল হলে বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাজা চার্লস।
আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদান শেষে হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম তার দলে অন্তর্ভুক্ত হাইকমিশনের বাকি সদস্যের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি তাদের সবার সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলেন।
হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম সম্বলিত একটি হস্তনির্মিত উপহার রাজা চার্লসকে দেওয়া হয়।