সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকটবর্তী একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে চালানো এই হামলার কথা শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে তিনি সিরিয়ায় বসবাসরত সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, দ্রুজ সম্প্রদায় ইসলাম ধর্মের একটি শাখাভুক্ত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। সিরিয়া ছাড়াও লেবানন ও ইসরায়েলে তাদের উপস্থিতি রয়েছে। সম্প্রদায়টির নিরাপত্তার অজুহাতে ইসরায়েল দুইদিনের ব্যবধানে সিরিয়ায় দ্বিতীয়বার হামলা চালাল।
এর আগে, বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠেও ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। টানা দুটি হামলা ইঙ্গিত দেয়, সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর প্রতি ইসরায়েলের গভীর অবিশ্বাস রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সুন্নি মতাদর্শ অনুসরণকারী ইসলামপন্থিদের দ্বারা গঠিত, যারা গত ডিসেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন সরকার গঠন করে।
নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার এই পরিস্থিতিতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। তিনি দেশটির বিভক্ত অবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। একই সঙ্গে এটি সিরিয়ার ভেতরের রাজনৈতিক জটিলতা ও বিভক্তিকে আরও ঘনীভূত করতে পারে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, গত রাতে আমরা দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকট হামলা চালিয়েছি। এটি সিরিয়ার শাসকদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা। দক্ষিণ দামেস্কে বাহিনী মোতায়েন বা দ্রুজদের প্রতি হুমকি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
সূত্র: রয়টার্স