চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গতকাল ২৬ জানুয়ারি শাহবাগে অবস্থান নেওয়া ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক পর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে শিক্ষকদের লাঠিপেটা করতে দেখা যায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগে পুলিশ ও ইবতেদায়ী শিক্ষকদের সংঘর্ষে বা পুলিশের গুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।
তবে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানায়, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন শিক্ষক নিহত হওয়ার দাবি সঠিক নয়।
আহতরা হলেন আনোয়ার হোসেন (৩৫), ফরিদুল ইসলাম (৩০), আমিনুল (৩৫), মিজানুর রহমান (৩৫), বিন্দু ঘোষ ও মারুফা আক্তার (২৫)। তাঁরা সবাই ইবতেদায়ি শিক্ষক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এছাড়াও, দেশের মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলোতেও কোনো নিহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এসব প্রতিবেদনে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষকের আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ২৬ জানুয়ারি ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষক মারা যাননি। এ ঘটনায় ৫ জন শিক্ষক আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে এসেছিলেন; যারা চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
সুতরাং, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ২ জন শিক্ষক নিহত হয়েছেন দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।