ঢাকা: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা জুড়ে দিয়ে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন ফেসবুকে যে ছবি প্রকাশ করেছিল, সে বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এর পেছনে হাইকমিশনের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
রোববার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ড. মোমেন বলেন, তারা (পাকিস্তান) প্রত্যেক দেশের পতাকা নিয়ে বিভিন্ন মিশনের পেজে ছবি আপলোড করেছে। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের মিশনে তাদের অর্ধেক পতাকা, আর সেসব দেশের পতাকার ছবিও একসঙ্গে দিয়েছে।
মোমেন বলেন, আমরা তাদের (পাকিস্তান) বলেছিলাম, এটা আমাদের পছন্দ হয়নি। এখানে এটি বাদ দিলেই ভালো হয়। তারা জানিয়েছে, কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই ছবি প্রকাশ করেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের পতাকাযুক্ত ছবি সরিয়ে নেয় পাকিস্তান হাইকমিশন।
এর আগে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৫টার মধ্যে বাংলাদেশের পতাকাযুক্ত ছবি সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেয়া হয় পাকিস্তান হাইকমিশনকে। ঢাকার নির্দেশনার পরও কেন হাইকমিশন পতাকা সরায়নি-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাতে অফিসে নিশ্চয়ই লোকজন থাকে না।
ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের কভার ফটো হিসেবে আপলোড করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা। সেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা একীভূত করে প্রকাশ করা হয়।
এটি প্রকাশ করার পর বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে এরইমধ্যে আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।