NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ৮ দফা কর্মসূচি


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম

একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ৮ দফা কর্মসূচি

একাওরের বাঙালি জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ৮ দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেছেন ড. প্রদীপ কর। আন্তর্জাতিক জেনোসাইড স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবসের ৭ম বার্ষিকী উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর ‘জেনোসাইড '৭১ ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র সেমিনার ও আলোচনা সভায় এই কর্মসূচি উপস্থাপন করা হয়।

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের পঠিত বক্তব্যেও ড. প্রদীপ কর একই আহবান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারি প্রবাসীদের প্রতি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে এই দাবির সাথে পরিচিত করতে পারলে তা পূরণ হওয়ার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে বলে উল্লেখ করেন সেমিনারের অন্য বক্তারা।

কর্মসূচিগুলো হলো- জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা। একাওরের জেনোসাইড ভয়াবহতা ও নৃশংসতা সম্পর্কে দেশে বিদেশে ব্যাপক জনমত তৈরী এবং এ উদ্দেশে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকল পর্যায়ের “বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ” অন্তর্ভুক্ত করা। একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি  আদায়ের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার উদ্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের পথিতযশা গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ও প্রবাসীদের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় লোকবল ও বাজেটসহ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তিশালী জাতীয় কমিটি বা সেল গঠন করা, দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন উৎস হতে একাওরের জেনোসাইড নানাবিধ দালিলিক প্রমাণগুলো সংগ্রহের মাধ্যমে একটি ডকুমেণ্ট প্রণয়ন করা, যাতে গণহত্যার যাবতীয় যথার্থ তথ্য ও চিত্র ছাড়াও তার সঙ্গে অডিও-ভিডিও থাকবে, হলোকস্ট ডিনাইল আইনের ন্যায় দেশে একটি আইন প্রনয়ন করা যাতে জেনোসাইড ফ্যাক্ট নিয়ে বিতর্ক তুলতে না পারে, কুটনীতিক পদক্ষেপ- প্রথমে বন্ধুপ্রতিম দেশসমুহের পার্লামেন্টে বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতির আদায়। বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টের স্বীকৃতি আদায়ের পর সব দেশগুলো সম্মিলিত  ভাবে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে স্বীকৃতির বিষয়টি উত্থাপিত  করা। এ ক্ষেত্রে আরমানীয়া ও রুয়ান্ডার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো, জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়ার পাশাপাশি এই জেনোসাইড মূল নায়কদের ও ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা এবং একাত্তরের জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে জেনোসাইড ইতিহাসের বিষয়ে পরিণত করা এবং যেখানে জেনোসাইড সেখানেই প্রতিরোধ এই নীতি গ্রহনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে কাজ করা।

 

জেনোসাইডের স্বীকৃতিদাবির এ এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনস্যাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। আলোচক ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক ফজলুর রহহমান, অধ্যাপক হোসনে-আরা, ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আলী সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মো. বকতিয়ার আলী, রমেশ চন্দ্র নাথ, কামরুল আলম হিরা, বদিউজ্ঞামান পান্না, জালালউদ্দিন জলিল, অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ, একে চৌধুরী, খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, নুতন প্রজন্মের শুভ রহমান।