NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

যুক্তরাজ্যে ১৫ প্রধানমন্ত্রী এসেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সময়ে


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:৩০ এএম

>
যুক্তরাজ্যে ১৫ প্রধানমন্ত্রী এসেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সময়ে

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডস। জন্ম ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল। ১৯৫৩ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথের। 

আর দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামলে যুক্তরাজ্যের শেষ প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস। উইনস্টন চার্চিলের জন্ম ১৮৭৪ সালে, আর লিজ ট্রাসের জন্ম ১৯৭৫ সালে। অর্থাৎ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামলের প্রথম ও শেষ প্রধানমন্ত্রীর বয়সের ব্যবধান ১০১ বছর।  

পুরো মেয়াদকালে রানি প্রতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতেন। 

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মুকুটধারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের সিংহাসনে আসীন ছিলেন ৭০ বছর ধরে। চলতি বছরই তার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উদযাপিত হয়েছে।   

রানির মৃত্যুর পর প্রিন্স উইলিয়াম ও তার স্ত্রী ক্যাথরিন ডিউক ও ডাচেস অব কেমব্রিজ ও কর্নওয়াল হয়েছেন।

২৭ বছর বয়সে ১৯৫৩ সালের ২ জুন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে মুকুট পরেন রানি দ্বিতীয় এলিবাবেথ। বিশ্বব্যাপী ২ কোটির বেশি মানুষ টিভিতে ওই অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখেছিলেন। অনেকেই তখন প্রথমবারের মতো সরাসরি টিভি অনুষ্ঠান দেখছিলেন।
 
পরবর্তী কয়েক দশকে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ব্রিটিশ সাম্রাজ্য হ্রাস পায় এবং ১৯৬০-এর দশকে ব্রিটিশ সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। 

ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের জন্য সেটা সম্মানজনক বিষয় ছিল না। এই সময়ে এলিজাবেথ রাজতন্ত্রে বেশি কিছু সংস্কার আনেন। তিনি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যান এবং জনসাধারণের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি  কমনওয়েলথের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তিনি অন্তত একবার করে কমনওয়েলথের প্রতিটি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন।

ব্যক্তিগতভাবেও কিছু খারাপ সময়ের মধ্যে যায় রানির জীবন। ৯৯২ সালে ভয়াবহ আগুনে উইন্ডসের দুর্গ ধ্বংস হয়ে যায়। এটা ছিল রানির ব্যক্তিগত বাসভবন ও কর্মস্থল। তার তিন সন্তানের বিয়েও ভেঙে যায়। 

১৯৯৭ সালে প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কথা না বলার জন্যও রানি সমালোচিত হয়েছিলেন।

আধুনিক সমাজে রাজতন্ত্রের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।