খবর প্রকাশিত: ১৭ জুন, ২০২৫, ১১:০৬ এএম
গত দেড় দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলো তদন্তে জাতিসংঘের যে কোনো ধরনের সহায়তা বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, আমি চাই জাতিসংঘ আমাদের চলমান তদন্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকুক। এতে প্রক্রিয়াটি আরও দৃঢ়তা পাবে।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি) প্রতিনিধি দলের সহ-সভাপতি গ্রাজিনা বারানোস্কা এবং সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা গুমের ঘটনাগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সনদ (আইসিপিপিইডি)-এ বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষরের বিষয়ে। তবে তারা বলেন, এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।
তারা গঠিত অনুসন্ধান কমিশনের কাজ ও প্রতিশ্রুতির প্রশংসাও করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। তারা নানা রকম হুমকির মুখেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় আমি বলেছিলাম, আমাদের একটি ‘ভয়ের জাদুঘর’ তৈরি করা উচিত, যাতে মানুষ এসে দেখতে পারে। আপনাদের সহায়তাও দরকার। আমাদের সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ১৩ বছর পর জাতিসংঘের একটি দলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই আপনারা আমাদের অনুসন্ধান কমিশনের সঙ্গে কাজ করুন, তাদের দিকনির্দেশনা ও শক্তি দিন।
বারানোস্কা জানান, ২০১৩ সাল থেকে তারা বাংলাদেশে গুম নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে আসছেন এবং অনুসন্ধান কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিশন এবং তার কাজ- এটা আপনার সরকারের একটি বড় অঙ্গীকার। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। এটা আমাদের জন্য এক বিরাট সম্মান।
বারানোস্কা জানান, তারা ঢাকার বাইরে গিয়ে গুমের শিকার পরিবারের সদস্য, সিভিল সোসাইটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।