NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

নিজের এভারেস্ট জয় তরুণ প্রজন্মকে উৎসর্গ করলেন শাকিল


খবর   প্রকাশিত:  ৩০ মে, ২০২৫, ০৯:০৫ এএম

নিজের এভারেস্ট জয় তরুণ প্রজন্মকে উৎসর্গ করলেন শাকিল

দেশের মাটিতে পা রেখে নিজের এভারেস্ট জয় তরুণ প্রজন্মকে উৎসর্গ করেছেন পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল। তার এ যাত্রায় পাশে থাকার জন্য প্রাণ-আরএফএলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান এই এভারেস্টজয়ী।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়েগেণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ইকরামুল হাসান শাকিল। এ সময় তিনি বলেন, আমার এই জার্নিটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘ একটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের ইনানী বিচ থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয়েছে। যমুনা নদীর তিন কিলোমিটার সাঁতরে পাড়ি দিতে হয়েছে। এভাবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় হেঁটে উঠে গেছি।

 

তিনি বলেন, এই পুরো পথে জিরো লেভেল থেকে আস্তে আস্তে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছি। সবকিছু পার করে ১৯ মে সকাল সাড়ে ৬টায় এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরি। আমার এই অভিযান শেষ করতে ৮৪ দিন সময় লাগে। তবে আমাদের টার্গেট ছিল যাতে ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে পারি।

এভারেস্টের চূড়ায় জার্নিটা সহজ ছিল না জানিয়ে শাকিল বলেন, আমরা সমুদ্র সমতলের মানুষ। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাই আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তারপর বড় জায়গা ছিল অর্থনৈতিক। কারণ এটা অনেক ব্যয়বহুল একটা স্পোর্টস। আমি চাই আমাদের পাশে যেহেতু বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে যায়। আমার এ যাত্রায় প্রাণ-আরএফএল সহ অনেক প্রতিষ্ঠান ছিল। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই সহযোগিতা প্রকাশ করেছেন। আমারে যাত্রা শুভ করা সবার প্রতি এবং দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

 

 

শাকিল বলেন, দেশে আসার পর আমার সহকর্মীসহ পরিচিতজনরা সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এটি আমার জন্য বড় পাওয়া। সবাইকে ধন্যবাদ। যারা নতুনভাবে যেতে চান তারা যেন সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেন। এ জন্য মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি জরুরি।