NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

‘ওলো’ নামে নতুন রঙ আবিষ্কারের দাবি বিজ্ঞানীদের


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৪০ এএম

‘ওলো’ নামে নতুন রঙ আবিষ্কারের দাবি বিজ্ঞানীদের

নতুন একটি রঙ আবিষ্কারের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাদল। রঙটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ওলো’। গবেষকদের দাবি, এটি এমন একটি রঙ, যা আগে কোনো মানুষ কখনো দেখেনি। তাছাড়া উজ্জ্বল নীল-সবুজ ধরনের রঙ, যা সাধারণ চোখে দেখা সম্ভবও নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষকদের সমন্বয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণাটি সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভ্যান্সেস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

 

গবেষণায় অংশ নেওয়া পাঁচজনের চোখে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করে বিশেষ কোষ উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে এই রঙটি দেখা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গবেষণার সহ-লেখক ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেন এনজি বিবিসিকে বলেন, ওলো এমন একটি রঙ, যা বাস্তব পৃথিবীর যেকোনো রঙের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ও স্যাচুরেটেড। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন, আপনি সারাজীবন শুধু হালকা গোলাপি রঙ দেখে এসেছেন। হঠাৎ একদিন কেউ একটি শার্ট পরে এলো, যার রঙ এত তীব্র যে আপনি অবাক হয়ে গেলেন। সেটিই হলো ওলো- একটি সম্পূর্ণ নতুন রঙ।

 

অধ্যাপক এনজির দাবি, ‘ওলো’ সাধারণ মানুষের জন্য সহজে দেখা সম্ভব না হলেও, এটি বর্ণান্ধ ব্যক্তিদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

কীভাবে দেখা গেল এই রঙ?

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মানুষের চোখের রেটিনায় কোণ আকৃতির কোষ রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে রং উপলব্ধি করা যায়। এই কোষ আবার তিন ধরনের-এস, এল ও এম। কোষগুলো লাল, নীল ও সবুজ রঙের আলাদা আলাদা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রতি সংবেদনশীল।

 

গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত চোখ দিয়ে কিছু দেখার সময় আলোর কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে ‘এম’ কোষ আলোড়িত হলে, ‘এল’ ও ‘এস’ কোষও আলোড়িত হয়। তবে লেজার রশ্মি ফেলার পর শুধু ‘এম’ কোষগুলো আলোড়িত হয়েছে। ফলে চোখ থেকে যে রঙের সংকেত মস্তিষ্কে যায়, তা সাধারণ দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে না। এর কারণেই খোলা চোখে ওলো রং দেখা যায় না।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের সিটি সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন সায়েন্টিস্ট প্রফেসর জন বারবার বলেন, এটি নিঃসন্দেহে প্রযুক্তিগত একটি অর্জন, তবে এটি সত্যিকারের নতুন রঙ কি না, তা বিতর্কের বিষয়। তার মতে, কন কোষের সংবেদনশীলতায় পরিবর্তন এনে কোনো রঙের তীব্রতা বা উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করা নতুন কিছু নয়।

সূত্র: বিবিসি