NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ১০ থেকে ১৫ বছর: ট্রাম্পের দূত


খবর   প্রকাশিত:  ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:২৬ এএম

গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ১০ থেকে ১৫ বছর: ট্রাম্পের দূত

ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড পুনর্গঠনে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) উপত্যকাটি পরিদর্শনের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি উইটকফ বলেন, গাজার প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই। মানুষ উত্তরে ফিরে যাচ্ছে তাদের ঘরবাড়ি দেখতে, কিন্তু কিছুই নেই। তারা ফিরে এসে দেখছে চারপাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই। এটি সত্যিই বিস্ময়কর যে সেখানে কতটা ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে।

 

তিনি জানান, গাজার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, সেখানে হাঁটাও নিরাপদ নয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক অবিস্ফোরিত বোমা রয়েছে, যা মারাত্মক বিপজ্জনক। এমন পরিস্থিতিতে গাজার পুনর্গঠনের জন্য ৫ বছরের পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয়। এটি অন্তত ১০ থেকে ১৫ বছর সময়ের একটি প্রকল্প।

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বক্তব্যে প্রস্তাব দেন, আরব দেশগুলো গাজাবাসীদের জন্য অন্য কোনো স্থানে নতুন আবাসন নির্মাণ করতে পারে, যেখানে তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

 

তবে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব বরাবরই এই ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। গাজা তাদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে চায় ও আরব দেশগুলোও গাজাবাসীদের স্থানান্তরের ধারণাকে সমর্থন করেনি।

উইটকফ জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে গাজাবাসীদের অন্য কোথাও স্থানান্তরের বিষয়ে কোনো আলোচনা করেননি।

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বোমা হামলার পর গাজায় ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমেছে, যা পরিষ্কার করতেই ২১ বছর সময় এবং ১ দশমিক ২ বিলিয়ন অর্থাৎ ১২০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে।

 

এই ধ্বংসস্তূপে অ্যাসবেস্টসের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এছাড়া ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এখনো আনুমানিক ১০ হাজার মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

সূত্র: রয়টার্স