NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

পবিত্র শবেমেরাজ আজ


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ এএম

পবিত্র শবেমেরাজ আজ

আজ সোমবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। নবুয়তের ১১তম বছর এই রাতে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুলকে তাঁর একান্ত সান্নিধ্যে ডেকে নেন। আর এর মাধ্যমে তিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে সমগ্র সৃষ্টির ওপর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেন।

কেননা সৃষ্টিজগতে কেবল তিনিই মহান আল্লাহর একান্ত সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেছেন। মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তাঁর উম্মতের জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনেন। মহাজাগতিক এই সফর নবী (সা.)-এর নবুয়তের সপক্ষে অলৌকিক প্রমাণ এবং মুসলিম জাতির জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণাও বটে। 

 

সুফি সাধক আলেমরা শবেমেরাজকে প্রেম ও ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন বলে থাকেন।

কেননা নবুয়ত লাভের ১১তম বছর মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ বছর তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালেবকে হারান। অন্যদিকে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকে আহত ও আশাহত হয়ে ফেরেন। এমন ব্যথাতুর সময়ে আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে সান্নিধ্য দানের মাধ্যমে প্রশান্তির চাদরে আবৃত করেন।
 

 

শবেমেরাজ মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদার অন্যতম উপলক্ষ। তাই মুসলমানরা প্রতিবছর ২৬ রজব দিবাগত রাতে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে মেরাজের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করেন। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও শবেমেরাজে ধর্মীয় আলোচনা, কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া, দরুদ ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। যদিও শরিয়তে এই রাতের জন্য নির্ধারিত কোনো আমল নেই, তবু মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইবাদত-বন্দেগি ও জিকিরের মজলিসে শামিল হন।