NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ভোট কম পেয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন যারা


খবর   প্রকাশিত:  ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:৫০ এএম

প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ভোট কম পেয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন যারা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। কেউ যদি সর্বোচ্চ সাধারণ ভোট পান, তার মানে এই নয় যে তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পাঁচটি নির্বাচন আছে যেখানে প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট না পাওয়ায় সর্বোচ্চ সাধারণ ভোট পাওয়া প্রার্থী হেরে গেছেন।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে ঘটে এমন ঘটনা।

সেবার হিলারি ক্লিনটন মোট ভোট পেয়েছিলেন ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৫ ভোট। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ ভোট। কিন্তু ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২৭৯টি, আর হিলারির পক্ষে গিয়েছিল ২২৮টি।

 

যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৩৮ জন ইলেকটোরাল বা নির্বাচককে নিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ হয়।

একেকটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে সেখানে ইলেকটোরাল সংখ্যা থাকে। ভোটাররা যখন ভোট দেন, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হিলারি ক্লিনটন বা অন্য কাউকে ভোট দিলেও আসলে একেকজন ইলেকটোরালকে বাছাই করেন।

 

২০১৬ সালের আগে আরো চারবার ইলেকটোরাল কলেজ জিতিয়েছিল চারজনকে। ২০০০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর পেয়েছিলেন ৫ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ৮১০ ভোট।

কিন্তু তার চেয়ে প্রায় ছয় লাখ কম ভোট পেয়েও রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মোট ভোট ছিল ৫ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি।

 

এই দুই নির্বাচনের আগে আরো তিনজন সাধারণ ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেগুলো উনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা।

ইলেকটোরাল কলেজের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে ডেমোক্র্যাটদের।

ভোট বেশি পেয়েও যারা প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি তাদের সকলেই ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী ছিলেন। হিলারি ও আল গোর ছাড়াও ১৮২৪ সালে এন্ড্রো জ্যাকসন (ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান পার্টি), ১৮৭৬ সালে স্যামুয়ল জে টিলডেন (ডেমোক্র্যাট), ১৮৮৮ সালে গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের (ডেমোক্র্যাট) সঙ্গে এমনটি হয়েছিল।

 

ইলেকটোরাল ভোটের কারণে এন্ড্রো জ্যাকসনের জায়গায় প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন জন কুইন্সি। এছাড়া স্যামুয়ল জে টিলডেনের জায়গায় এডামস  রোদারফোর্ড বি হেইস এবং গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের জায়গায় প্রেসিডেন্ট হন বেঞ্জামিন হ্যারিসন।

ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির ভোটাভুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক আছে। কয়েক দফায় এটি বাতিলের জন্য কংগ্রেসে তোলাও হয়েছিল। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে প্রতিবারই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গেছে।