শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। মেধাসম্পদ আইনসমূহের আধুনিকায়ন, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মসহ সকলক্ষেত্রে মেধাসম্পদ অধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এ দিবস উদযাপন করছে।
প্রতি বছর ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস পালিত হয়। এ বছর সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকারসহ সংগীতায়তনের সংশ্লিষ্ট সকলের সৃজনশীলতা সংরক্ষণ এবং নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে মেধাসম্পদের অধিকার সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপের নিমিত্ত এবারের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ছিল ‘আইপি অ্যান্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি’।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মেধাসম্পদ দিবসের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী, অভিনেত্রী ও সংগীত পরিচালক আরমিন মুসা। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমান।
আদিলুর রহমান খান বলেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘আইপি অ্যান্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি’ যা সৃজনশীলতা ও মেধাসম্পদের গুরুত্বকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে উদ্বুদ্ধ করে। সংগীত আমাদের আবেগ, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ; যা সুরক্ষিত রাখতে মেধাসম্পদের ভূমিকা অপরিসীম।
উপদেষ্টা বলেন, সংগীত একটি সর্বজনীন ভাষা যা সীমানা, সংস্কৃতি ও প্রজন্ম অতিক্রম করে। এটি অনুপ্রেরণা জোগাতে, মানুষকে একত্র করতে এবং সমাজকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখে। প্রতিটি সুর, তাল, লয় ও ছন্দের সুবিন্যাসের মাধ্যমে সংগীতকে প্রাণবন্ত করে তোলার পেছনে রয়েছে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, প্রযোজকের কঠোর পরিশ্রম। তবে এই সৃজনশীল মেধা বিকশিত করতে তাদের কাজের সুরক্ষা ও ন্যায্য প্রতিদান নিশ্চিত করা জরুরি। সৃজনশীল ব্যক্তিগণের যথাযথ স্বীকৃতি ও ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে আইনি কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
শিল্পসচিব বলেন, বর্তমান সৃজনশীল অর্থনীতিতে মেধাস্বত্বের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংগীত একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মাধ্যম, যার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর মেধাস্বত্ব কাঠামোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি ও আইনি কাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে এই খাতকে আরও শক্তিশালীকরণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জিআইপ্রাপ্ত সুন্দরবনের মধু, মধুপুরের আনারস, কুমিল্লার খাদি, সিলেটের মণিপুরী শাড়ি, মিরপুরের কাতান শাড়ি, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি, কুমারখালীর বেডশিটসহ ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়।