খবর প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৫২ এএম
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি মোকাবিলার জন্য পিয়ংইয়ংকে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন ছিল। আমাদের সশস্ত্রবাহিনী যেকোনো সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের দেশের পারমানবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ সক্ষমতাও বিশ্বস্ততার সঙ্গে, নির্ভুলভাবে তাৎক্ষণিক দায়িত্ব পালনে পূর্ণ শক্তিতে প্রস্তুত রয়েছে।
কোরীয় যুদ্ধের অবসান হওয়া অস্ত্রবিরতির বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। উত্তর কোরিয়া দিনটিকে নিজেদের ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে।
২০১৭ সালের পর উত্তর কোরিয়া তার প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা এমন বক্তব্য দেওয়ার পরই কিম এই বক্তব্য রাখলেন। খবর আল-জাজিরার।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যদি পরমাণু পরীক্ষার দিকে আরও আগায় তাহলে দেশটির ওপর সাইবার আক্রমণের সক্ষমতা রোধসহ আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
কিম জন উন তার বক্তব্যে বলেন, ওয়াশিংটন দক্ষিণ কোরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধের প্রায় ৭০ বছর পরও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ক্রমাগত ‘বিপজ্জনক, অবৈধ শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড’ চালিয়ে যাচ্ছে এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালিয়ে নিজেদের এসব আচরণের আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করছে।
এই ব্যাপারে সিউলের ইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিফ-এরিক ইজলি বলেছেন, কিমের বিজয় দিবসের ভাষণটিকে অস্ত্রবিরতির পর থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরীয়দের জাতীয় গর্ব জোরদার করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা যেতে পারে।