NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবীণদের ৪১.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত


খবর   প্রকাশিত:  ১৫ আগস্ট, ২০২৪, ০২:৫১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবীণদের ৪১.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি প্রবীণদের ৪১.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপে ৬২.২ এবং অস্বাভাবিক ওজনে ভুগছেন ৫০.২ শতাংশ বাংলাদেশি।দেশটিতে দক্ষিণ এশিয়ান আমেরিকানদের স্বাস্থ্য-চিকিৎসা নিয়ে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির একটি যৌথ গবেষণা-পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ১৪ বছরের এ গবেষণায় তহবিল জুগিয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) ও বেসরকারি খাত।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির কমিউনিটি হেলথ ফোরাম এবং ইন্ডিয়া হোমসের যৌথ উদ্যোগে সোমবার জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তাদের গবেষণা-পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

মেডিয়েটর্স অব অ্যাথিরোসক্লিরোসিস ইন সাউথ এশিয়ানস লিভিং ইন আমেরিকা স্টাডিজের অ্যাসোসিয়েট রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর সংগঠক সাবিহা সুলতানা বলেন, “প্রবীণ প্রবাসীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা আলোকে ২০২১ সালে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি পরিচালিত জরিপে টার্গেট ছিল ৮৫০ জন। সে স্থলে অংশ নেন ৭৫৪ জন। ৬০০ বাংলাদেশির স্থলে পাওয়া যায় ৫৭০ জন। এর ৪৯ শতাংশ পুরুষ ছিলেন।

“সেই জরিপে উদঘাটিত হয় যে, বাংলাদেশি প্রবীণদের ৪১.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৬২.২ শতাংশ। অস্বাভাবিক ওজোন ৫০.২ শতাংশ। পাকিস্তানিদের মধ্যে এ হার ৫৫.৬ শতাংশ এবং ভারতীয়দের মধ্যে ৩০ শতাংশ।”

গবেষণায় আরও বলা হয়, ‘নিজেকে সুস্থ রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার এ তিন দেশের অভিবাসীর মধ্যে সবচেয়ে সচেতন হচ্ছেন ভারতীয়রা। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশিরা, এ হার ৯৯.৪ শতাংশ। পাকিস্তানিদের মধ্যে ৯৭.৮ শতাংশ।’


নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এশিয়ান আমেরিকানদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার হিসেবে কর্মরত সাবিহা আরও জানান, ‘ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি গবেষণা জরিপে এখন পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৩০০ জন। চলমান গবেষণা-জরিপ আলোকে ইতোমধ্যে ১১০টি প্রবন্ধ-নিবন্ধ চিকিৎসা সম্পর্কিত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যার সুফল আসছে সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায়।’

এসময় নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে ‘ইন্টারনাল মেডিসিন এক্সপার্ট’ এবং বাংলাদেশি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বর্ণালী হাসান বলেন, “ঠিকমতো চলাফেরা করছেন, শরীরের ওজনও বেশি নয়, এটাই সুস্থতার গ্যারান্টি হতে পারে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করা জরুরি। তাহলে অনেক রোগই প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়লে তা পুরোপুরি নিরাময় করা সহজ হয়।”

এই প্রকল্পে সহযোগী পরিচালক এবং জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক নাদিয়া ইসলাম বলেন, “দ্য ডায়াবেটিস রিসার্চ, এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাকশন ফর মাইনোরিটিজ প্রজেক্টের মাধ্যমে নিউ ইয়র্ক অঞ্চলের প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে এখনও অনেকে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হননি বলে প্রতিনিয়ত জটিল রোগে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার অবসানে নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির আবহে চিকিৎসা সেবার পরিধি বিস্তৃত করার চেষ্টা চলছে।”

ডেন্টিস্ট আইনুন নাহার প্রবাসীদের ‘খাদ্যাভাস পরিবর্তনের’ আহ্বান জানান। অংশগ্রহণকারী প্রবীণ প্রবাসীদের দেওয়া বিভিন্ন সেবামূলক ব্যবস্থার তথ্য জানান কর্মশালার সমন্বায়ক নাহার আলম।

তিনি বলেন, “এই গবেষণা প্রকল্পে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালে অংশগ্রহণকারী ৩০৩ প্রবাসীর মধ্যে ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ কমানো সম্ভব হয়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলে অনেক জটিল রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সহজ হয়।”

কর্মশালা থেকে আরও জানানো হয়, ‘আগে ৫০ বছর বয়স হলেই চিকিৎসকেরা কলোন ক্যান্সার টেস্টের তাগিদ দিতেন। এখন তা কমিয়ে ৪৫ বছর করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ানরাও কলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন টেস্ট করা জরুরি।’

এ প্রকল্পে অন্যতম সহযোগী ইন্ডিয়া হোমসের পক্ষ থেকে প্রবীণ প্রবাসীদের আবাসস্থল নির্মাণের তথ্য জানানো হয়। এগুলো স্বল্প ভাড়ায় ব্যবহার করতে পারবেন বাংলাদেশিরাও। গৃহায়নে সহযোগিতার এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও দু’বছর লাগবে বলে উল্লেখ করেন সাবিহা সুলতানা।