NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

দক্ষিণ সুদানে অতর্কিত হামলায় আঞ্চলিক কমিশনারসহ নিহত ১৫


খবর   প্রকাশিত:  ২০ মার্চ, ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম

দক্ষিণ সুদানে অতর্কিত হামলায় আঞ্চলিক কমিশনারসহ নিহত ১৫

ইথিওপীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ সুদানের পূর্ব পিবোর অঞ্চলে গাড়িবহরে অতর্কিত হামলায় একজন আঞ্চলিক কমিশনারসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

বৃহত্তর পিবোর প্রশাসনিক এলাকার তথ্যমন্ত্রী আব্রাহাম কেলাং বলেছেন, পোচাল্লা কাউন্টি থেকে জাতিগত গোষ্ঠী অ্যান্যুয়াকের সন্দেহভাজন সশস্ত্র যুবকরা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়।

কেলাং এএফপিকে জানান, গাড়িবহরটি মাত্র ১০ কিলোমিটার যাত্রা করার পর এটি বন্দুক হামলার মুখে পড়ে।

এতে কমিশনার এবং আরো ১৪ জন নিহত হন। জেবেল বোমা কাউন্টির কমিশনার ছাড়াও দক্ষিণ সুদান পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের একজন ডেপুটি কমান্ডার ও একজন নারী নিহতদের মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া হামলাকারীদের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

 

হামলার উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

কিন্তু কেলাং একজন সাবেক কমিশনারকে অভিযুক্ত করেছেন, যাঁকে পোচাল্লা কাউন্টিতে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছিল অ্যান্যুয়াক গোষ্ঠীকে একত্র করার অভিযোগে। কেলাংয়ের মতে, এই দলটিই হামলা চালিয়েছে।

 

গণমাধ্যমটি বলেছে, দক্ষিণ সুদানে প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। গবাদি পশু নিয়ে ঝগড়া এবং প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে বিবাদ অথবা পূর্ববর্তী হামলার প্রতিশোধের কারণে প্রায়ই এসব সংঘর্ষ হয়।

২০১৩ সালে পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ সুদানের অনেক শত্রু সম্প্রদায়ের কাছে অস্ত্রও রয়েছে।

 

এ ছাড়া বিশাল তেলের মজুদ থাকা সত্ত্বেও দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ সুদান জাতি হিসেবে প্রায় অর্ধেক সময় যুদ্ধে কাটিয়েছে এবং ক্রমাগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ক্ষুধা, অর্থনৈতিক মন্দা ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত সহ্য করেছে। জাতিসংঘের মতে, ২০২৪ সালে দেশটির আনুমানিক ১১ মিলিয়ন জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে।

দক্ষিণ সুদানে একটি ক্ষমতা ভাগাভাগির শান্তিচুক্তি ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু চলমান বিরোধের কারণে এর অনেক বিধান অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

জানুয়ারিতে সুদান এবং দক্ষিণ সুদান—উভয়ের দাবীকৃত একটি বিতর্কিত অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বী সম্প্রদায়ের মধ্যে লড়াইয়ে দুই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীসহ ৫৪ জন নিহত হয়।