খবর প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১৬ এএম
ঢাকা: কোভিড ১৯-এর নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মহামারির প্রথম বছর জেকেজির জালিয়াতির ঘটনাগুলো প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে সরকারি চাকরিতে থাকা চিকিৎসক সাবরিনার যোগসাজশ বিষয়টিকে নতুনমাত্রা দেয়।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চাকরিচ্যুত চিকিৎসক সাবরিনা হতবাক হয়ে বলেন, আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না—এই সাজা কীভাবে হলো? কী হবে বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু এতটা হবে বুঝতে পারিনি।
তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানান। আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট নন ডা. সাবরিনার আইনজীবী প্রণবকান্তি ভৌমিক। উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন তিনি।
সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল ছাড়া মামলার বাকি ছয় আসামি হলেন—আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও।