NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ লন্ডনের মঞ্চে ‘ডিডিএলজে’, চমকে দিলেন শাহরুখ খান জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব শিগগিরই মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের হামলায় ১১ সেনা নিহত, আহত ৭৮: পাকিস্তান আইএসপিআর কেন দাম কমে গেছে সুপারস্টার নয়নতারার পর্দা নামলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের, বিজয়ী গিগাবাইট টাইটানস
Logo
logo

‘এটা সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব’, কলকাতার মঞ্চে সালমান খান


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:৪৩ এএম

‘এটা সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব’, কলকাতার মঞ্চে সালমান খান

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে উৎসবকে আরো রঙিন করে তুললেন বলিউর মেগাস্টার সালমান খান। মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় পা রাখেন সালমান। এরপর চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়ে হাজারও দর্শককে আপ্লুত করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশে বসেই উপভোগ করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

 
অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সালমান খান বলেন, তিনি কলকাতায় এসে গর্বিত। 

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে সালমান খানকে বরণ করে নেন কলকাতার অভিনেতা দেব। অনীল কপুরকে উত্তরীয় পরান সোহম চক্রবর্তী। সৌরভ গাঙ্গুলীকে বরণ করেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

 
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান বলেউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সম্মান জানান মহেশ ভাটকে। রুক্মিণী মৈত্র বরণ করে নেন সোনাক্ষী সিনহাকে।

 

1
সালমান খানকে বরণ করে নেন দেব

এদিকে সালমানকে কলকাতার মঞ্চে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা।

 
সালমান খান মঞ্চে কিছু বলার অনুরোধ পেতেই উঠে দাঁড়ান তবে মাইকের সামনে আসতেই শান্ত থাকতে হয় অভিনেতাকে। কারণ সবাই তাকে দেখে চিৎকার করতে শুরু করেন। টানা তিন মিনিট মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। বলার সুযোগই পেলেন না কিছু।

 

এরপর দর্শকদের শান্ত করে বললেন, ‘এভাবেই চিৎকার করে যান, আমায় বলার সুযোগ দেবেন না।

 
কারণ বলার জন্য কিছু বাকি নেই। শত্রুজি (শত্রুঘ্ন সিনহা), অনিলজি (অনিল কাপুর), মহেশজি (মহেশ ভাট) আমি তাদের সম্মান করি, কিন্তু তারা আজ আমায় শেষ করে দিয়েছে। শপথ করে বলছি, আমার বলার কিছুই বাকি নেই। আমার বলার জন্য কিছু বাকিই রাখেননি তারা। পরে বলতে আসলে বলার জন্য কিছু বাকি থাকবে না। আমার যা যা বলার ছিল সবাই সবটা বলে দিয়েছে। তাই একই কথা আবার শুনতে চান কি? না তো? আমি চলে যাচ্ছি।’ 

 

এরপর তিনি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বললেন, ‘এটা সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব, আমি সত্যি জানতাম না। শেষবার যখন আমি একটি কনসার্টের জন্য কলকাতাতে এসেছিলাম, তখন বুঝে গিয়েছিলাম এখানকার জনসংখ্যা কত। বহু মানুষ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী আমায় বলেছিলেন আপনাকে আসতেই হবে চলচ্চিত্র উৎসবে। আপনারা তো জানেন, আমি যদি কোনও কথা দিয়ে দিই, তখন আমি আমার নিজেও সেটার বরখেলাপ করি না। তাই আজ আমি এখানে।’

এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে উত্তমকুমার থেকে শুরু করে সত্যজিৎ রায়, সকলের উদ্দেশে সম্মান জানান ভাইজান। মঞ্চে দাঁড়িয়েই তাঁকে পরবর্তী বছরের জন্য আমন্ত্রণও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সালমানকে নিজের হাতে আঁকা একটি পেইনটিংও উপহার দেন মমতা।

আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ছাড়াও বাংলা চলচ্চিত্র জগৎকে যাঁরা দীর্ঘ বছর ধরে একের পর এক উপহার দিয়ে এসেছেন, তাঁদের সম্মান জানানো হয় উৎসবের মঞ্চে। কোয়েল মল্লিক সম্মান জানান গৌতম ঘোষকে। রঞ্জিৎ মল্লিককে উত্তরীয় পরিয়ে দেন নুসরাত জাহান। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে সম্মান জানান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাধবী মুখোপাধ্যায়কে সম্মান জানান কোয়েল মল্লিক। মমতা ব্যানার্জি নিজে উঠে আসেন দুই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর জন্য। একইসঙ্গে সালমান খানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সবার। পুরস্কৃত করা হয় দীপঙ্কর দে’কে। লিলি চক্রবর্তীকেও সম্মান প্রদান করা হয়। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান জানান টোটা রায়চৌধুরী। সন্দীপ রায়কে সম্মান প্রদান করা হয়। অঞ্জন দত্তকে বরণ করে নেন মিমি চক্রবর্তী। চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে সম্মান প্রদান করেন দেব। সব্যসাচী চক্রবর্তীকে সম্মান প্রদান করেন রাজ চক্রবর্তীর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে উত্তরীয় পরান মিমি চক্রবর্তী। উৎসবের চেয়ারম্যান রাজকে উত্তরীয় পরান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।