NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ভারতে মার্কিন মন্ত্রীরা, কথা বললেন চীন-ইসরায়েল নিয়ে


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:৫৩ এএম

ভারতে মার্কিন মন্ত্রীরা, কথা বললেন চীন-ইসরায়েল নিয়ে

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সফরে চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতের আঞ্চলিক অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের পক্ষে ভারতের সমর্থনও জোগাতে চায় তারা।

 

 

বৈঠকের শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, জরুরি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর মুখে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম গণতন্ত্রের মতামত বিনিময়, অভিন্ন লক্ষ্য খোঁজা এবং সেগুলো আমাদের জনগণকে দেওয়া আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অস্টিন আরো বলেন, ‘গত এক বছরে আমাদের প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব তৈরিতে দারুণ অগ্রগতি লাভ করেছে। এটি আমাদের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একসঙ্গে আরো বেশি অবদান রাখতে সাহায্য করবে।’ তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা সমুদ্র থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

 

 

যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের পাশাপাশি ভারতও কোয়াড জোটের সদস্য। জোটটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য ঠেকানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে।

সামুদ্রিক স্যাটেলাইটের ডাটা নিজেদের মধ্যে ভাগ করার বিষয়টি তুলে ধরে বৈঠকে ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা একটি উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও স্থিতিস্থাপক ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে আগ্রহী।’

অন্যদিকে গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফর এবং সেপ্টেম্বরে জি২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দুই দেশের ‘ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ বিষয়টি তুলে ধরেন এবং ‘দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের’ প্রশংসা করেন।

 

 

ওয়াশিংটনও আশা করে, দুই দেশের দৃঢ় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নয়াদিল্লির প্রাথমিক সামরিক সরবরাহকারী রাশিয়া থেকে ভারতকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘকাল ধরে সীমান্ত বিরোধ চলছে। ২০২০ সালে একটি মারাত্মক সংঘর্ষের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক গভীরভাবে স্থবির হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে থাকা সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্তে এখনো উত্তেজনা রয়ে গেছে।

এ ছাড়া গাজার চলমান সংঘাত ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতকে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও পরিবহন পথের আশার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা সেপ্টেম্বরে জি২০ সম্মেলনে উন্মোচিত হয়েছিল।