খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি-মার্কিন সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যায় ব্যবহৃত বুলেটটি মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। মে মাসের শুরুতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানের সময় শিরিন নিহত হন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জেনারেল প্রসিকিউটর আকরাম আল-খাতিব জানিয়েছেন, আমরা পরীক্ষার জন্য বুলেটটি মার্কিনদের কাছে হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছি। তবে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। খবর রয়টার্সের
জাতিসংঘসহ অনেক মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও ফিলিস্তিনের সরকারি কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে আল জাজিরার সাংবাদিক আবু আকলেহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। জুন মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ১১ মে (বুধবার) তারিখে সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী জেরুসালেমে জন্ম নেয়া ওই নারী সাংবাদিককে হত্যা করেছে।
দক্ষ ব্যালিস্টিক বিস্ফোরক ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সবুজ অগ্রভাগের ওই বুলেটটি বর্ম ছিদ্র করার জন্য ডিজাইন করা এবং এটা এম-৪ রাইফেলে ব্যবহৃত হয়। নিহত শিরিন আকলেহের মাথা থেকে ওই বুলেটটি বের হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই বুলেটটি থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক বিশ্লেষণ করে জানা গেছে এটা ৫.৫৬ মিমি ক্যালিবার। ইসরায়েলি বাহিনী এ ধরনের বুলেট ব্যবহার করে। ওই বুলেটটি উৎপাদন ও ডিজাইন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সিআইএ-এর সাবেক সহকারী জাতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা গ্লেন কার্লি বলেন, সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ড তদন্তের ফলাফল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি বিশ্রী অবস্থায় ফেলতে পারে।
ওই গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত বুলেটটির ফরেনসিক বিশ্লেষণের নেতৃত্ব দেবে এফবিআই। যেহেতু এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু। এতে একটি (ফিলিস্তিনি) সত্তা এবং একটি রাষ্ট্র (ইসরাইল) জড়িত। এ তদন্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংশ্লিষ্ট স্বার্থ আছে। এখানে যেকোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সিদ্ধান্তটি সরকারের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অংশগুলোর সাথে সমন্বিত হবে। হোয়াইট হাউস থেকেও অকপটে সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে বুলেটটি ইসরায়েলি শুটার বা রাইফেল থেকে এসেছে। এটা ইসরায়েলি সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবুও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সত্য আড়াল করতে চায় না। সুতরাং এটি একটি সুক্ষ্ম ইস্যু হবে। মনে করি যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ তদন্তের ফলাফল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইসরায়েল সফরের পরে পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে চাইবে।