NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

এ বছর বাংলাদেশ সফর করবেন জিসিসি মহাসচিব


খবর   প্রকাশিত:  ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম

>
এ বছর বাংলাদেশ সফর করবেন জিসিসি মহাসচিব

বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে চায় গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)। স্মারক সই করতে চলতি বছর বাংলাদেশ সফর করবেন সংস্থাটির মহাসচিব ড. নায়েফ ফালাহ এম আল-হাজরাফ।

বুধবার (২৯ জুন) রিয়াদ জিসিসির সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান জিসিসি মহাসচিব।

রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ ও জিসিসি সচিবালয় ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত করেছে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য জিসিসি মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

মহাসচিব জানান, বাংলাদেশ ও জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে অত্যন্ত শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। 

তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও কৃষি উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব শান্তি ও অন্যান্য অনেক বিষয়ে বাংলাদেশের গঠনমূলক ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেছেন জিসিসি মহাসচিব।

বাংলাদেশ ও জিসিসি পারস্পরিক সুবিধার জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিক ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও সেসব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মহাসচিব জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ এবং কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা জিসিসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী উল্লেখ করেন যে, জিসিসি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি যোগানদাতা অঞ্চল এবং বিশ্ব রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইয়েমেনে শান্তির জন্য সাম্প্রতিক উদ্যোগের জন্য জিসিসি মহাসচিবের প্রশংসা করেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিসিসির সম্পৃক্ততার ও প্রশংসা করেন।

মহাসচিবকে রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি বাংলাদেশ সফর করলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সরাসরি দেখার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ অনেক বিষয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে সম্যক ধারনা পাবেন।

রাষ্ট্রদূত সহযোগিতা কাঠামোর সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমঝোতা স্মারকটি সইয়ে জোর দেন। বৈঠকে দূতাবাসের কাউন্সেলর হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন।