যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। কেউ যদি সর্বোচ্চ সাধারণ ভোট পান, তার মানে এই নয় যে তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পাঁচটি নির্বাচন আছে যেখানে প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট না পাওয়ায় সর্বোচ্চ সাধারণ ভোট পাওয়া প্রার্থী হেরে গেছেন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে ঘটে এমন ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৩৮ জন ইলেকটোরাল বা নির্বাচককে নিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ হয়।
২০১৬ সালের আগে আরো চারবার ইলেকটোরাল কলেজ জিতিয়েছিল চারজনকে। ২০০০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর পেয়েছিলেন ৫ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ৮১০ ভোট।
এই দুই নির্বাচনের আগে আরো তিনজন সাধারণ ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেগুলো উনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা।
ইলেকটোরাল কলেজের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে ডেমোক্র্যাটদের।
ইলেকটোরাল ভোটের কারণে এন্ড্রো জ্যাকসনের জায়গায় প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন জন কুইন্সি। এছাড়া স্যামুয়ল জে টিলডেনের জায়গায় এডামস রোদারফোর্ড বি হেইস এবং গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের জায়গায় প্রেসিডেন্ট হন বেঞ্জামিন হ্যারিসন।
ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির ভোটাভুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক আছে। কয়েক দফায় এটি বাতিলের জন্য কংগ্রেসে তোলাও হয়েছিল। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে প্রতিবারই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গেছে।