আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমালে ইউরোপ অপরিশোধিত তেলের দিকে ঝুঁকতে পারে সেই সম্ভাবনায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর বাড়তে শুরু করেছে। ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারসের সেপ্টেম্বরে সরবরাহ হবে এমন তেলের দর মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় ১টা ১২ মিনিটের দিকে ৪৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১০৫ দশমিক ৬০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের দিনও এর দর এক দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সেপ্টেম্বরে সরবরাহ হওয়ার কথা থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ফিউচারসের দর ৩৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৭ দশমিক ০৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে; সোমবারও এ ক্রুডের দর বেড়েছিল ২ দশমিক ১ শতাংশ।
বুধবার মার্কিন সেন্ট্রাল ব্যাংক তাদের নীতিনির্ধারণী বৈঠকের চূড়ান্তপর্বে সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। সুদের হারের এ বৃদ্ধি মহামারীকালে অর্থনীতিতে দেওয়া সহায়তা কার্যত শেষ করে দেবে। এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শ্লথ করে দিকে পারে এবং এতে জ্বালানির চাহিদা কমতে পারে, এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও তেলের মূল্য বাড়ছে। সোমবার রাশিয়ার বৃহৎ জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য তারা নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ অর্ধেকের মতো কমাবে।
মস্কো তার কথামত সরবরাহ কমিয়ে দিলে ইউরোপের দেশগুলো শীতকালের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রাখার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না। তেমনটা হলে ইউরোপের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানিকে শীতের মাসগুলোতে নাগরিকদের উষ্ণ রাখতে শিল্পক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করার দিকে যেতে হতে পারে।
নিশান সিকিউরিটিজের গবেষণা মহাব্যবস্থাপক হিরোইউকি কিকুকাওয়া বলেছেন, “রাশিয়া সরবরাহ কমিয়ে দিলে গ্যাসের বাড়তি দামের কারণে গ্যাস থেকে অপরিশোধিত তেলে চলে যাওয়ার ঝোঁক বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে সরবরাহ ঝুঁকির আশঙ্কায় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে (তেলের) চাহিদা কমাতে পারে এমন উদ্বেগ সংক্রান্ত দড়ি টানাটানিও কিছু সময় চলতে পারে।”