ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বলেছেন, রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষার প্রয়োজন। এর জন্য তিনি ন্যাটোর সহযোগিতা চেয়েছেন। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা ঠেকাতে এই মুহূর্তে ইউক্রেনের অন্তত সাতটি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও ন্যাটো পরস্পরের মিত্র কি না এই ইস্যুই তা নির্ধারণ করে দেবে।
ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের শুক্রবার জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটো দেশগুলো বিপর্যস্ত ইউক্রেনকে আরো সামরিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুক কি না, তার ওপর বিচার করে প্রকৃত মিত্র কে তা নির্ধারণ করা হবে।
এ ছাড়া জেলেনস্কি পশ্চিমা সহায়তার পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত সীমিত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। ইসরায়েলের প্রতি সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো—এ বিষয়ও উল্লেখ করেছেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত সাতটি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন ইউক্রেনের। তাঁর কথায়, ‘(রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনকে অবশ্যই থামাতে হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তৃতায় জেলেনস্কি ন্যাটো মন্ত্রীদের বলেন, পশ্চিমা সমর্থনের দোলাচলের মাঝে এক হাজার ২০০টিরও বেশি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি এক হাজার ৫০০টি ড্রোন এবং আট হাজার ৫০০টি গাইডেড বোমার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে ইউক্রেন।
জেলেনস্কির মরিয়া আবেদন
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরাসরি বলছি, নিজেদের সুরক্ষার জন্য আমাদের প্যাট্রিয়টসের মতো আরো সাতটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার। এটা খুব সামান্য। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে।’
অন্যদিকে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনব্যার্গ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্যাট্রিয়টগুলো ছাড়াও অন্যান্য অস্ত্র রয়েছে, যা মিত্ররা সরবরাহ করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ফরাসি-ইতালীয় এসএএমপি/টি।
জেলেনস্কি যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে ন্যাটোর নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এ বছর আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’
যদিও ন্যাটো মিত্ররা কিয়েভকে লাখ লাখ গোলাবারুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউই সেগুলো সরবরাহ করতে পারেনি। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে কয়েকজন কট্টর ডানপন্থী ট্রাম্প সমর্থকের কারণে কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের তহবিল আটকে রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা এখনো যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন সমর্থনের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এদিকে ছয় লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার (৫৭.৩ বিলিয়ন ইউরো) একটা সহায়তা প্যাকেজ শনিবার হাউসের ভোটে পেশ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।