ইইউ পার্লামেন্ট বুধবার একগুচ্ছ আইন অনুমোদন করে রাজনৈতিক আশ্রয়সংক্রান্ত অভিন্ন নীতির পথ সুগম করেছে। তবে এ উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক রয়েছে। অনেক তর্কবিতর্কের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট রাজনৈতিক আশ্রয়সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনের সংস্কারের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
দশটি আইনের আওতায় এই রাষ্ট্রজোটের বহিঃসীমানায় আরো কড়া নিয়ম চালু হবে এবং সব সদস্য দেশ সম্মিলিতভাবে এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব বণ্টন করে নেবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ইইউর বেশির ভাগ সদস্য দেশের সরকার সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। ইউরোপীয় কমিশন সেসব আইন কার্যকর করার উপায় দেওয়ার পর ২০২৬ সাল থেকে সেই উদ্যোগ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আশ্রয়সংক্রান্ত অভিন্ন নীতি কার্যকর হলে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ বহিঃসীমানার বাইরেই যাচাই করা হবে। যাদের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আশঙ্কা কম, তাদের সেখান থেকেই যত দ্রুত সম্ভব কোনো ‘নিরাপদ’ দেশে প্রত্যর্পণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে নতুন সীমানা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যারা প্রবেশের সুযোগ পাবে, ইইউর বিভিন্ন দেশে তাদের বণ্টন করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী ও সংসদীয় ক্ষমতাকেন্দ্র এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উৎসাহ দেখালেও একাধিক শরণার্থী সহায়তা সংগঠন ইইউর নতুন অভিন্ন নীতির সমালোচনা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, এর ফলে আরো বেশি মানবিক বিপর্যয় ঘটবে। রেড ক্রস ইইউর উদ্দেশে শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে।
ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থীরাও ভিন্ন কারণে এই সংস্কারের বিরোধিতা করছে। হাঙ্গেরির সরকার এমন অভিন্ন নীতির কড়া বিরোধিতা করে আসছে। গতকাল বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান নিজের দেশে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কা প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।