NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

অভিন্ন আশ্রয়নীতির পথে ইইউ


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:১৬ এএম

অভিন্ন আশ্রয়নীতির পথে ইইউ

ইইউ পার্লামেন্ট বুধবার একগুচ্ছ আইন অনুমোদন করে রাজনৈতিক আশ্রয়সংক্রান্ত অভিন্ন নীতির পথ সুগম করেছে। তবে এ উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক রয়েছে। অনেক তর্কবিতর্কের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট রাজনৈতিক আশ্রয়সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনের সংস্কারের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

দশটি আইনের আওতায় এই রাষ্ট্রজোটের বহিঃসীমানায় আরো কড়া নিয়ম চালু হবে এবং সব সদস্য দেশ সম্মিলিতভাবে এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব বণ্টন করে নেবে।

ফলে এবার থেকে শুধু গ্রিস ও ইতালির মতো দেশকে শরণার্থীদের ঢল আর একা সামলাতে হবে না। শরণার্থীরাও আর বিচ্ছিন্ন আশ্রয়নীতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইইউর একাধিক সদস্য দেশে স্বীকৃতির চেষ্টা চালাতে পারবেন না। 

 

উল্লেখ্য, এর আগে ইইউর বেশির ভাগ সদস্য দেশের সরকার সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। ইউরোপীয় কমিশন সেসব আইন কার্যকর করার উপায় দেওয়ার পর ২০২৬ সাল থেকে সেই উদ্যোগ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

আশ্রয়সংক্রান্ত অভিন্ন নীতি কার্যকর হলে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ বহিঃসীমানার বাইরেই যাচাই করা হবে। যাদের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আশঙ্কা কম, তাদের সেখান থেকেই যত দ্রুত সম্ভব কোনো ‘নিরাপদ’ দেশে প্রত্যর্পণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে নতুন সীমানা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যারা প্রবেশের সুযোগ পাবে, ইইউর বিভিন্ন দেশে তাদের বণ্টন করা হবে।

ফলে গ্রিস ও ইতালির মতো দেশকে আর একা বহিরাগতদের দায়িত্ব সামলাতে হবে না। কোনো সদস্য দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। 

 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী ও সংসদীয় ক্ষমতাকেন্দ্র এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উৎসাহ দেখালেও একাধিক শরণার্থী সহায়তা সংগঠন ইইউর নতুন অভিন্ন নীতির সমালোচনা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, এর ফলে আরো বেশি মানবিক বিপর্যয় ঘটবে। রেড ক্রস ইইউর উদ্দেশে শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে।

ব্রাসেলসে ইইউ পার্লামেন্ট ভবনের সামনেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখা গেছে। 

 

ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থীরাও ভিন্ন কারণে এই সংস্কারের বিরোধিতা করছে। হাঙ্গেরির সরকার এমন অভিন্ন নীতির কড়া বিরোধিতা করে আসছে। গতকাল বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান নিজের দেশে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কা প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।