ভারতের রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানা রাজ্যে গতকাল রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপি মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে জয় পেয়েছে। প্রথমবারের মতো তেলেঙ্গানায় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এদিকে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ তিন রাজ্যে বিজেপির জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য যতটা স্বস্তিদায়ক, কংগ্রেসের জন্য ততটাই অস্বস্তিকর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজস্থানে পালাবদল বহাল
রাজস্থানে বিধানসভার ২০০টি আসনের মধ্যে ১১৫টিতে জয় পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস পেয়েছে ৭০টি এবং অন্যরা পেয়েছে ১৪টি আসন। একটি আসনে ভোট বাতিল হয়েছে। গতবার রাজ্য সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস।
মধ্য প্রদেশে আবারও বিজেপি
মধ্য প্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি।
কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিপুল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। মধ্য প্রদেশে এই লজ্জাজনক পরাজয়ে কংগ্রেসের হতাশ হওয়ারই কথা। কারণ নির্বাচনের আগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের নেতৃত্বে জয় পাওয়ার আশায় ছিল দলটি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১১৪টি আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস, বিজেপি পেয়েছিল ১০৯টি। কিন্তু সিচিন্দার নেতৃত্বে কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলে সেবার সরকার গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস।
ছত্তিশগড়ে বিজেপির চমক
চমক দেখিয়ে জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্য ছত্তিশগড়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি। ৫৬টি আসনে জয় পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে দলটি। অন্যদিকে কংগ্রেস ৩৩টিতে জয় পায়। এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৪৬টি আসন প্রয়োজন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপে’ জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় ভোটের রাজনীতিতে প্রভাব পড়েছে।
তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের উত্থান
অবশেষে তেলেঙ্গানার মসনদ ছাড়তে হচ্ছে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) কে চন্দ্র শেখর রাওকে। কংগ্রেস নেতা রেভান্ত রেড্ডির নেতৃত্বে দক্ষিণের এই রাজ্যে উত্থান ঘটেছে কংগ্রেসের। ৬৫টি আসনে জয় পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন বিআরএস ৩৯টি আসনে জয় পায়। তবে এই রাজ্যে বিজেপি মাত্র আটটি আসনে জয় পেয়েছে। এদিকে বিজেপির সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানে নির্বাচনের ফলাফল ইঙ্গিত দিয়েছে—ভারতের জনগণ সুশাসন ও উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’