ছয় দিন পেরিয়ে সাত দিনে পা দিল ভারতের উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ। টানা সাত দিন ধরে ধসে পড়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪০ জন শ্রমিক। সামনের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেও বারবার বাধা আসছে। এবার তাই ওপর দিক থেকে খননকাজ চালিয়ে ধসে পড়া সুড়ঙ্গের ভেতরে পৌঁছনো যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন উদ্ধারকারীরা।
এত দিন সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাটি খুঁড়ে পাইপ ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ওই পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে ব্যাঘাত ঘটেছে শুক্রবার। নতুন করে ধস নামায় উদ্ধারকাজ আপাতত স্থগিত।
আটকে থাকা ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। তবে সুড়ঙ্গ থেকে এখনো কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। পাইপের মাধ্যমেই তাঁদের কাছে খাবার ও অন্যান্য দরকারি জিনিস পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পঞ্চম পাইপটি ঢোকানোর সময় বিপদ ঘটে।
মাটি খোঁড়ার জন্য দিল্লি থেকে অত্যাধুনিক খননযন্ত্র আনানো হয়েছিল। সেই যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। অন্য একটি বিদেশি যন্ত্রের মাধ্যমে কাজ চলছিল।
উদ্ধারকারীদের বিশেষ দল আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে, ওপর দিক থেকে নতুন করে খোঁড়ার কাজ শুরু করা যায় কি না। তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। শনিবার উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ পরিদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে।
এদিকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে কথা বলছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে চিন্তা কমছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রত্যেক শ্রমিকই সুস্থ আছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ একবারের জন্যও বিচ্ছিন্ন হয়নি। দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা