আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ভারতের নাসিকে খাজা সাইয়্যাদ চিশতী নামের মুসলিম এক আধ্যাত্মিক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে তিনি ‘সুফি বাবা’ নামে বেশি পরিচিত। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ইয়েওলা শহরে তাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

পুলিশের বরাত দিয়ে বুধবার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৫ জুলাই) মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ইয়েওলা শহরে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা খাজা সাইয়্যাদ চিশতীকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় চার ব্যক্তি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো কারণ নেই। জমি সংক্রান্ত বিবাদে ওই সুফি গুরুকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।

আদতে আফগানিস্তানের মানুষ হলেও নিহত ৩৫ বছর বয়সি এই ধর্মীয় নেতা গত কয়েক বছর ধরে নাসিকে থাকছিলেন। তবে হত্যার পেছনে সম্ভাব্য কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ইয়েওলা শহরের এমআইডিসি এলাকার একটি খোলা প্লটে খাজা সাইয়্যাদ চিশতীকে হত্যার এই ঘটনা ঘটে। যেখানে সৈয়দ চিস্তিকে খুন করা হয়, মুম্বাই শহর থেকে সেই এলাকার দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার।

ভারতের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাজা সাইয়্যাদ চিশতী নামে নিহত এই আধ্যাত্মিক ধর্মীয় নেতা ইয়েওলা শহরে ‘সুফি বাবা’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, আক্রমণকারীরা তার কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। তিনি আরও বলছেন, আফগানিস্তানের নাগরিক সুফি বাবাকে হত্যা করার পর অভিযুক্তরা তার ব্যবহৃত একটি এসইউভি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। প্রথামিকভাবে আটক করা হয়েছে সুফি গুরুর গাড়ির চালককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ধর্মীয় কারণে খুনের যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আধিকারিক শচীন পাটিলের বক্তব্য, এই হত্যার সঙ্গে ধর্মীয় যোগ নেই। গোটা ঘটনার সাক্ষী সৈয়দ চিস্তির গাড়ির চালক। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি ফাঁকা জমির প্লটে খুনের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৫ জুলাই)। স্থানীয়দের সাহায্যে ওই জমির দখল পেয়েছিলেন মৃত ধর্মগুরু খাজা সৈয়দ চিস্তি। যদিও ওই জমি কিনতে পারেননি, যেহেতু তিনি এখনও আফগানিস্তানের নাগরিক। জমি সংক্রান্তে বিবাদেই ধর্মীয় গুরুকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইয়েওলা থানায় একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।