দর্শকদের সব আকর্ষণ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। তার আগে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় হামজা চৌধুরীর ঘরের মাঠে অভিষেক এগিয়ে গেলো এক সপ্তাহ। সেই সাথে ফাহামিদুল ইসলামের আগমন।
দীর্ঘ ৫৫ মাস ফুটবল ফিরলো তার নিজের ঠিকানা ঢাকা স্টেডিয়ামে। এমন একটি ম্যাচে ফুটবল ফিরলো দেশের প্রধান ক্রীড়া ভেন্যুতে, যে ম্যাচে হামজার সাথে খেললেন ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলাম।
হামজা গোল করলেন, বাংলাদেশ জিতলো-এর চেয়ে বেশি কী চাওয়ার ছিল দর্শকদের! তারপরও দীর্ঘ সময় পর ঢাকা স্টেডিয়ামে ফুটবল ফেরাটা কিছু কারণে দর্শকদের কাছে হতাশার প্রতিচ্ছবি হয়েই থাকলো।
দর্শক খেলা দেখতে চেয়েছিল এবং গাঁটের পয়সা দিয়ে টিকিট কিনেই। তবে বাফুফে টিকিট নিয়ে করেছে ভিন্ন ব্যবসা। দর্শকেদের চেয়ে বাফুফে বেশি বিবেচনায় নিয়েছে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে।
ফুটবলের সবচেয়ে বড় অংশীজন হলো ক্লাব। যে ক্লাবের কারণে প্রাণ আছে দেশের ফুটবলের, সেই ক্লাবগুলোকে দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় টিকিট। যে সব দর্শক সাড়া বছর শূন্য গ্যালারি ভরে দেওয়ার চেষ্টা করে সেই দর্শকরা এই ম্যাচে ছিল মাঠের বাইরে। এমনকি টিকিটের জন্য টানা তিন দিন বাফুফের সামনে অবস্থান করেছে এক দল দর্শক।
অব্যবস্থাপনায় ভরপুর ছিল ম্যাচ। আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, অনেক দর্শক মাঠে ঢুকে দেখবেন ম্যাচ অনেক সময় হয়ে গেছে। বাস্তবে হয়েছেও তাই। দর্শক গ্যালারিতে প্রবেশ করানোর বাফুফের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে গেট ভাঙতে বাধ্য হয়েছে মানুষ।
এই সব অব্যবস্থাপনা ও বিড়ম্বনার পরও দর্শক খুশি তাদের প্রিয় দল জিতে গেছে। আর বাংলাদেশের জয়ের এক গোল আছে হামজা চৌধু্রীর। এই স্টেডিয়ামে এর আগে সবশেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ড্র করেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। নতুন করে সেজে ওঠা স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরলো জয়ে। ৫৫ মাসের ব্যবধানে আবার ফুটবল উন্মাদনায় রঙিন হলো দেশের প্রধান এই ক্রীড়া ভেন্যু ঢাকা স্টেডিয়াম।