প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) থাকাকালীন নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের দ্বন্ধ অনেকবার প্রকাশ্যে এসছিল। বিশেষ করে মেসি ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে যেন সেই দ্বন্ধ আরো বেশি ডালাপালা মেলতে শুরু করে। নিয়মিত এ নিয়ে খবরও প্রকাশ হতে থাকে। মূলত নেইমারের সঙ্গে মেসির ভালো সম্পর্কের কারণে 'ঈর্ষান্বিত' হয়ে পড়েছিলেন এমবাপ্পে।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপজয়ী রোমারিওর হোস্ট করা একটি পডকাস্টে কথা বলার সময় ৩২ বছর বয়সী নেইমার পিএসজিতে তিন তারকার একসঙ্গে সফল হতে না পারার পেছনে কারণ। তিনি জানান, তিন তারকার ইগো সমস্যা বড় ম্যাচগুলিতে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছিল।
পডকাস্টে রোমারিও নেইমারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এমবাপ্পে ‘বিরক্তিকর’ কিনা? জবাবে নেইমার বলেন, ‘না, সে বিরক্তিকর নয়।
এমবাপ্পে ২০১৭ সালে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন, একই বছর রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে বার্সেলোনা থেকে ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমারও।
‘আমরা একসঙ্গে কয়েকছর ভালো সময় কাটিয়েছি। তবে মেসি আসার পর এমবাপ্পে একটু ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেছিল। সে আমাকে আর কারো সঙ্গে শেয়ার করতে চায়নি।
২০২১ সালে মেসি বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর এমবাপের আচরণ বদলে যায় বলে জানান নেইমার। বার্সেলোনায় ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত একত্রে সফল সময় কাটানোর কারণে নেইমারের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক আগেই তৈরি ছিল।
পিএসজিতে তিন সুপারস্টারের একত্রে সফল না হওয়ার পেছনে মূল কারণ ইগোকে দায়ি করেছেন নেইমার। তিনি বলেন, 'ইগো থাকা ভালো। তবে তোমাকে বুঝতে হবে, তুমি একা খেলতে পারবে না। তোমাকে অন্যদেরও পাশে রাখতে হবে: 'আমি সেরা, ঠিক আছে', কিন্তু কে তোমাকে বল দেবে? তোমার পাশে ভালো খেলোয়াড় থাকতে হবে, যারা বল দিতে পারবে। এটা সবার ইগোর বিষয় ছিল...তাই এটা সফল হতে পারেনি। আজকের দিনে, কেউ যদি না দৌড়ায়, কেউ যদি একে অপরকে সাহায্য না করে, তাহলে জয় অসম্ভব।'
এ ছাড়া নেইমার আল হিলালের মেয়াদ শেষে কোথায়া যাচ্ছেন সেই প্রশ্নে খোলামেলা কোনো উত্তর দেননি নেইমার। উড়িয়ে দেননি সৌদি লিগে ফেরার সম্ভাবনাও। আল হিলালের ম্যানেজার জেসুস বলেছেন, ‘আমি জানি না নেইমারের ভবিষ্যৎ কি হবে। সে এখনও আল হিলালের সঙ্গে চুক্তিতে আছ, এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত তার এবং ক্লাব ম্যানেজমেন্টের ওপর নির্ভর করবে।’