সময় অতিবাহিত হলেও কিছু ঘটনার রেশ যেন শেষই হতে চায় না। এই যেমন মেলবোর্ন টেস্টে যশস্বী জয়সওয়ালকে আউট দেওয়ার ঘটনা। টেস্ট শেষ হওয়ার দুই দিন হলেও তার রেশ এখনো রয়েছে।
পক্ষে-বিপক্ষে নানান মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া যখন রিভিউ নেয় তখন হেড কিছু একটা জিজ্ঞেস করছিলেন জয়সওয়ালকে।
মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দিনে ভারতীয় ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে আশা হয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়েছিলেন জয়সওয়াল। সে সময় ৮৪ রানে ব্যাটিং করছিলেন তিনি। ৭১তম ওভারের পঞ্চম বল প্যাট কামিন্স বাউন্স করলে জয়সওয়াল হুক করলে ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির হাতে জমা হয়। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা আবেদন করলেও মাঠের আম্পয়ার তাতে সাড়া দেন না। পরে রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া।
রিভিউয়ে স্নিকোমিটারে বল গ্লাপস কিংবা ব্যাটে লাগছে কিনা তা বোঝা না গেলেও স্পষ্টত বোঝা যায় যে কিছু একটাতে লেগেছে। কেননা ক্যারির হাতে জমা হওয়ার আগেই বড় একটা দিক পরিবর্তন করে বল। আর তা থেকে নিশ্চিত হয়েই থার্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈতক আউট দিয়ে দেন। তার আউটের পর জয়সওয়াল কিছুটা প্রতিবাদও করেন। তাতে অবশ্য সিদ্ধান্তে বদল আসেনি।
এ নিয়ে পরে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সৈকতের। তবে সুনীল গাভাস্কার-বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি বাংলাদেশের আম্পায়ারের সাহসী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেও ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটারকে পাশে পেয়েছেন সৈকত। বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা রবি শাস্ত্রী বলেছেন, ‘তৃতীয় আম্পায়ার চাইলে স্নিকো নাও মানতে পারেন। সেই ক্ষমতা তার আছে। বল গ্লাভসে লাগার পর দিক পরিবর্তন করেছে এটা দেখেছেন তিনি। তাই আউট দিয়েছেন। আমার মনে হয় এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।’
অন্যদিকে বিতর্কের অবসান টানতে সত্য না জানানোয় ভারতীয় ক্রিকেটারদেরসহ সাবেকদের মিথ্যাবাদী বলেছেন সুরিন্দর খান্না। ভারতের সাবেক উইকেটরক্ষক বলেছেন, ‘বিতর্ক তৈরির মতো কিছু ছিল না। চারটা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখানো হয়েছে। বল গ্লাভসে লেগেছে আর তাতেই গতি কমে উইকেটের পেছনে ক্যারির হাতে চলে গেছে। এরা তো মিথ্যাবাদী। আপনাকে সৎ হতে হবে, তারপরই জিতবেন। হাতে ব্যাট থাকলে বল কানায় লেগেছে কি না সেটি আপনি না বুঝে পারেন কীভাবে? ঘটনা হলো আমরা বাজে খেলেছি ও হেরেছি।’