সাদমান ইসলাম যখন ফিরছিলেন তখন ড্রেসিংরুমের সকলে হাততালি দিচ্ছিলেন। এমন হাততালির দৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই যেকোনো ক্রিকেটারের খুশি হওয়া কথা। তবে সাদমান নিশ্চিতভাবেই খুশি হতে পারেননি। হবেন কী করে? ৭ রানের জন্য যে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেন বাংলাদেশি ব্যাটার।

 

 

সাদমানের সেঞ্চুরির দুঃখ থাকলেও এমন ইনিংসটিও কম নয় প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে। তাই ড্রেসিংরুমের সকলেই বাহবা জানিয়েছেন তাকে। তবে সেঞ্চুরিটা পেলে তালির মাত্রাটা আরো বেড়ে যেত তাতে। চোটের কারণে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়ের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটার।

প্রত্যাবর্তনটা রঙিন হলো আক্ষেপটা থেকেই গেল। ১৮৩ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১২ চারে। 

 

দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় পর টেস্টে খেলতে নেমে পেলেন ফিফটি। সবশেষ ২০২২ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণে খেলেছেন সাদমান।

১৮৩ বলে ৯৩ রানে ইনিংসটি শেষ হয় মোহাম্মদ আলির বলে বোল্ড হয়ে। এরপরেই দুই দল চা বিরতিতে যায়। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। ১৫ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম।

 

এর আগে ২ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে প্রথশ সেশন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

মধ্যাহ্ণভোজ শেষে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য দ্রুতই সঙ্গী হারা হন সাদমান। ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশন শুরু করা মমিনুল ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি করার পরেই যে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। বাংলাদেশের সেই পুরোনো রোগ। বিরতির পর পরেই উইকেট হারানো। খুররম শেহজাদের ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন তিনি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে এর আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও বোকা বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসার।

 

কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রান করে ফেরেন মমিনুল। এতে করে সাদমান-মমিনুলের ৯৩ রানের জুটি ভেঙ্গে যায়। সাদমান পরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে ছুটলেও শেষ মুহূর্তে এসে বঞ্চিত হলেন। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ২৪৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।