ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ‘ওয়েব সামিট ২০২৫’। ১ মে থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবটি চলবে আগামী ৪ মে পর্যন্ত। এ অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র অঙ্গনের একাধিক নামিদামি তারকাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তারকাদের প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে। এ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই এবার বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানালেন বলিউড পারফেকশনিস্ট আমির খান।
ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক অডিও ভিজুয়াল এবং বিনোদন শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন আমির খান। এ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ভারতের চলচ্চিত্রশিল্পের প্রচার ঘটানোর প্রসঙ্গে মন্তব্য রাখেন এ অভিনেতা। এগিয়ে আসতে বললেন বিনিয়োগকারীদের।
এ প্রসঙ্গে আমির বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আগামী সময়ে ভারতে আরও অনেক বেশি থিয়েটার তৈরি হবে। এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা এবং মফস্বল এলাকায় থিয়েটারের অভাব রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আমরা।’
আমির খান আরও বলেন, ‘আমার মতে চলচ্চিত্র শিল্পে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। ভারতের চলচ্চিত্র শিল্প আরও বেশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফলতা অর্জন করবে, যদি ভারতজুড়ে দেশে থিয়েটার তৈরি হয়। যদি সেটা না হয়, তাহলে বড়পর্দায় মানুষ সিনেমা দেখতে আসবে না।’
ভারতের থিয়েটারের সংখ্যা বর্ণনা করতে গিয়ে আমির বলেন, ‘আমাদের দেশের আকার এবং দেশের জনসংখ্যার বিচারে থিয়েটারের সংখ্যা অনেক কম। ভারতে মাত্র ১০ হাজার থিয়েটার রয়েছে, যেখানে আমেরিকায় রয়েছে ৪০ হাজার এবং চীনে রয়েছে ৯০ হাজার।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে যে ১০ হাজার থিয়েটার রয়েছে তার মধ্যে অর্ধেক রয়েছে দক্ষিণ ভারত এবং বাকি অর্ধেক দেশের বাকি অংশে। হিসেব অনুযায়ী একটি হিন্দি সিনেমার জন্য ৫ হাজার স্ক্রিন বরাদ্দ থাকে।’
ভারতীয় দর্শকদের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ চলচ্চিত্র প্রেমিক, যারা বড়পর্দায় সিনেমা দেখতে যান। বাকি ৯৮ শতাংশ মানুষ হয় বাড়িতে সিনেমা দেখেন, না হলে কাছাকাছি সিনেমা হল না থাকার কারণে দেখতে পান না।’
আমির খান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনি হয়তো জানেন না আমাদের দেশে কোঙ্কনের মতো এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে একটিও সিনেমা হল নেই। ওখানকার মানুষ সিনেমা সম্পর্কে অবগত থাকলেও সিনেমা হল না থাকার কারণে সিনেমা দেখতে পান না।’
টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে আমিরের ভাষ্য, ‘আমার একটাই বক্তব্য, দেশের সমস্ত ছোট ছোট শহরে সিনেমা হল তৈরি করে সেখানে সস্তার টিকিট বিক্রি করতে হবে, তবেই মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে সিনেমাগুলো।’