আর জি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে মুখর গোটা ভারত। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ। এরই মধ্যে নতুন করে তোলপাড় ফেলেছে হেমা কমিটির রিপোর্ট। আর জি কর-কাণ্ডের ঘটনার পর হেমা কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার একের পর এক অধ্যায়।
এর পরই যৌন হেনস্তা ইস্যুতে একের পর এক অভিনেত্রী তুলছেন বিস্ফোরক অভিযোগ। এবার প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী তথা সালমান খানের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলী বলিউডের অন্ধকারময় দিক নিয়ে মুখ খুললেন।
বলিউডকে চিরতরে বিদায় জানিয়ে দেশ ছাড়া প্রসঙ্গে সোমি আলী বলেন, ‘হেমা কমিটির রিপোর্টের ফলাফল একই সঙ্গে হতাশাজনক এবং দুর্ভাগ্যবশত, শুধু কেরালা নয়, সারা বিশ্বের বিনোদন জগতের নারীদের কাছেই এটি খুব পরিচিত। যদিও ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে বলিউডে আমার অভিজ্ঞতা মালায়লাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নারীদের মুখোমুখি হওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে হুবহু মিল ছিল না, তবে একটি বিষাক্ত পরিবেশ তো ছিল। মেয়েদের মন খুলে কথা বলার অধিকার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি, যেখানে আমাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে আমি যদি আমার ক্যায়িরার এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই তবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গ আমায় দিতে হবে।’ সোমি আরো জানান, সবার সামনে সংসারি সুপারস্টার হিসেবে নিজেদের তুলে ধরা অনেক নায়কের হোটেল রুম থেকে বহু মেয়েকে খুব ভোরে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় বেরিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। তবে কারোর নাম নেননি সোমি।
সোমির আশা, হেমা কমিটির প্রতিবেদনটি সামনে আসার পর দেশের বিনোদন জগতে মেয়েদের দুর্দশার ছবিটা খানিক হলেও বদলাবে।
সালমান খানের সাবেক প্রেমিকা হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত সোমি আলী।