ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর সব এমপি-মন্ত্রী ও দলীয় নেতাকর্মীও আড়ালে চলে যান। গাঢাকা দেন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে রয়েছেন শোজিব অঙ্গনের একাধিক তারকা।
নিপুণের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করছেন শোবিজ অঙ্গনের ব্যক্তিরা। যার মধ্যে অন্যতম শেখ সেলিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা।
২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। সেখান থেকে জল গড়ায় আদালতে।
তবে সে সময়ে চুপ থাকলেও চিত্রনায়িকা নিপুণের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকে।
হারুন বলেন, ‘সেদিন রাতে একের পর এক ফোনে আমাকে ভয় দেখানো হয় যে তুলে নিয়ে যাবে। পরে একটা জায়গায় যেতে বলেন, যেখানে বড় অঙ্কের টাকা রাখা ছিল। যখন রাজি হলাম না, তখন ফলাফল নিয়ে মামলা করা হলো। সেটা চলে গেল কোর্টে। তখন নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে বানিয়ে দেওয়া হলো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। নানা কাণ্ডে আমাকে ছোট করা হলো, এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হলো।’
ওই নির্বাচনেই হারুনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে যুক্ত এক সদস্য বলেন, ‘নিপুণকে জয়ী করতে সেদিন রাতে ১৭ বার ফোন করেন শেখ সেলিম সাহেব। এমনকি নির্বাচন কমিশনারকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে গালিগালাজ করেন। বলেন, পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে যাবেন।’
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বদলে যান নিপুণ। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার চলাফেরা বাড়তে থাকে। এর পর থেকে নিপুণের সঙ্গে শেখ সেলিমের সখ্য চোখে পড়ে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অভিজাত এলাকা বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে নিপুণ গড়ে তোলেন প্রসাধনী ও লাইফস্টাইল কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’। সাধারণত শেখ সেলিমের মতো নেতা পার্লার উদ্বোধন করার কথা না হলেও নিপুণের এই পার্লারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন তিনি।