জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত প্রায় ১৩ হাজার ৮৪৮ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে সহায়তা, চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্যাটাগরি ‘এ’
অতি গুরুতর আহত, যাদের আজীবন সাহায্যের আওতায় নিয়ে আসতে হবে (ন্যূন্যতম এক চোখ/হাত/পা ক্ষতিগ্রস্ত ও স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের অনুপযোগী, সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন, সম্পূর্ণভাবে মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং কাজ করতে অক্ষম বা অনুরূপ আহত ব্যক্তি)।
ক্যাটাগরি ‘বি’
গুরুতর আহত, যাদের দীর্ঘদিন সাহায্য দিতে হবে (আংশিক দৃষ্টিহীন, মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত বা অনুরূপ আহত ব্যক্তি)।
ক্যাটাগরি ‘সি’
আহত যারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সক্ষম হবেন (শ্রবণশক্তি/দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত, গুলিতে আহত বা অনুরূপ আহত ব্যক্তি। আহত যারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সক্ষম)।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানিয়েছেন, প্রত্যেক শহীদ পরিবার ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবে।
গুরুতর আহতরা (এ ক্যাটাগরি) এককালীন ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। আর যাদের এক অঙ্গহানি (বি ক্যাটাগরি) হয়েছে, তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা এবং ১৫ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। যারা ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা নেই।