প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, বিচার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনসহ তিন ধাপে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 

উপ-প্রেস সচিব বলেন, প্রথম পর্যায়ে বিচার কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন এবং দেওয়ানি আদালতে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ই-ফাইলিংয়ের মামলাগুলোকে কোর্ট ফি কমানো/ছাড় ও ফাস্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে ই-ফাইলিংকে উৎসাহিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। সব আদালতে বর্তমান ব্যবস্থার পাশাপাশি ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ই-ফাইলিংসহ সব কোর্ট ফি খরচ জরিমানা ও অন্যান্য ফি পরিশোধের ব্যবস্থা চালু করতে প্রস্তাব করেছে কমিশন।

 

তিনি আরও জানান, শতভাগ মামলার তথ্য ই-কজ লিস্ট মডিউলের মাধ্যমে প্রদর্শন। সাক্ষ্যগ্রহণ আসামির হাজিরাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়গুলো অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পাদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

 

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আদালতের কার্যক্রমের ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ এবং তৃতীয় পর্যায়ে পূর্ববর্তী পর্যায়ের চালুকৃত ডিজিটাল সিস্টেমগুলোতে এ পর্যায়ে সময়োপযোগীকরণ, বর্ধিতকরণ এবং শতভাগ কার্যকর করার সুপারিশ করেছে কমিশন।