হিমালয়ের লোবুচে ইস্ট পর্বতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়েছে। পর্বতটির শিখরে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পতাকাটি উত্তোলন করেন পর্বত আরোহী আহসানুজ্জামান তৌকির। গত শনিবার এ পর্বতের শীর্ষে তিনি বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

 
 

 

চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর আহসানুজ্জামান তৌকিরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল পর্বতারোহণের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। যাদের মধ্যে শুধু আহসানুজ্জামান তৌকির লোবুচে ইস্ট পর্বত আরোহণ করেন। বাকি পাঁচজন আগামীকাল আইল্যান্ড পিক পর্বত আরোহণ করবেন। তবে তাদের সঙ্গে আহসানুজ্জামান তৌকির থাকছেন না।

 
পাহাড় অভিযানের প্রতিষ্ঠান রোপফোরের মাধ্যমে এই পর্বতারোহীরা নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

 

আহসানুজ্জামান তৌকির সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি ইতিমধ্যে হিমালয়ের অনেকগুলো স্থানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন। এ স্থানগুলোর মধ্যে এভারেস্ট বেইস ক্যাম্প, আইল্যান্ড পিক, কালা পাত্থার উল্লেখযোগ্য।

২০১৮ সাল থেকে রোপফোরের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন মাহির প্রতিবছর মিশন হিমালয়া নামক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছেন।

 
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের বুটক্যাম্পের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করতে হয়। বুটক্যাম্পের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করা বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে পর্বতে নিয়ে গিয়ে অতি উচ্চতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ বছরের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় আহসানুজ্জামান তৌকির ও তার দল। সেই উপলক্ষে তাদের হিমালয়ের লোবুচে ইস্ট পর্বত ও আইল্যান্ড পিক আরোহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

 

তবে এ অভিযানগুলোর জন্য কোনো ধরনের স্পন্সর সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান রোপফোরের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন মাহির।

 
তিনি বলেন, ‘পর্বতে প্রতিটি অভিযানই অনেক ব্যয়বহুল। কোনো ধরনের স্পন্সর ছাড়া এই অভিযানগুলো করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমরা তৌকিরসহ তার দলের এই অভিযান দুটির জন্য স্পন্সর পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমরা কোনো স্পন্সর পাইনি।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘পরবর্তীতে আমরা এভারেস্ট বেইস ক্যাম্প, অন্নপূর্ণা বেইস ক্যাম্প ও আইল্যান্ড পিক অভিযানের জন্য কিছু ক্লায়েন্ট সেবা দিয়ে থাকি। এই ক্লায়েন্ট সেবার অর্থ ও টি-শার্ট বিক্রির অর্থ দিয়েই তারা এই অভিযানটি করছে। এ ছাড়া আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকেও কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছি।’