স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপিকে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের হাসপাতালে বোমা হামলায় হতাহত হাজারো অসুস্থ অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও জরুরি ওষুধ সামগ্রী পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার বিকেলে টেলিফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
ফিলিস্তিনে ওষুধ সামগ্রী প্রেরণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন।
তিনি সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের আহত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে চাই।
শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, ‘রাসেলের হত্যাকারী ঘাতকরা পৈশাচিক মানসিকতার মানুষ। তারা নিষ্ঠুর, ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট। পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেক রাষ্ট্রপ্রধানদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা কেবলই একটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, এটি ছিল জাতির ভবিষ্যৎ মেরুদণ্ডকে ভেঙে দিতে একটি পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতদের পরাজয়ের শোধ নিতে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও ধিকৃত উপায়ে কাপুরুষোচিত উপায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।’
হত্যাকারী ঘাতকরা কেবল জাতির পিতা এবং নারীদের হত্যা করেই থামেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দিন ছোট্ট শিশু রাসেল যখন মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল তখন ঘাতকরা সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে অত্যন্ত নির্মমভাবে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে। সেদিন কেন শিশু রাসেলকে হত্যা করতে হয়েছিল? কী দোষ ছিল ছোট্ট এই শিশুর? এটি কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। ঘাতকরা ছিল অত্যন্ত পৈশাচিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তারা নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক ছিল বলেই তারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল এবং রাসেলের মতো এত ফুটফুটে ছোট্ট শিশুকেও হত্যা করতে তারা পিছপা হয়নি।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিববৃন্দ। সভায় দেশের আগামী শিশুদের রাসেলের মতো করে গড়ে তুলতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।