NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ৬, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

হিরোশিমায় জি-৭ অধিবেশন : জেলেনস্কির বক্তৃতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাখমুতের কথা


খবর   প্রকাশিত:  ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০১:৪৪ পিএম

হিরোশিমায় জি-৭ অধিবেশন : জেলেনস্কির বক্তৃতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাখমুতের কথা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: জি-৭ সম্মেলনের শেষ দিন জয় করে নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। অধিবেশনে অংশ নেওয়া দেশগুলো আবার জানিয়ে দিল, ইউক্রেনকে সব রকম সাহায্য করা হবে। ইউক্রেন জি-৭-এর অংশ না হয়েও যুদ্ধের কারণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাকি রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো পোশাকে নয়, সামরিক শার্ট পরেই এদিনের অধিবেশনে অংশ নেন তিনি।

হিরোশিমা মেমোরিয়াল প্রদর্শন করে সম্মেলনে যোগ দেন জেলেনস্কি। 

 

তিনি বলেন ‘ঐতিহাসিক হিরোশিমায় দাঁড়িয়ে যুদ্ধে সম্পূর্ণ ধসে যাওয়া বাখমুত শহরের কথা মনে পড়ছে। ওই শহরের মানুষের কথা মনে পড়ছে।’ আরো বলেন, বাখমুত শহরে আর একটি বাড়িও দাঁড়িয়ে নেই।

পুরো শহরটি ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। হিরোশিমা মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের ছবিগুলো দেখে বাখমুতের কথাই মনে পড়ছে।

 

 বিশ্বের কাছে আরো একবার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সকলের কাছে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে আরো ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য দেওয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে ইউক্রেনে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সংস্কারে এই ডলার কাজে লাগাতে পারবে। জি-৭ সম্মেলনে সার্বিকভাবে ইউক্রেনের পাশে থাকার শপথ নেওয়া হয়েছে।

 

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জেলেনস্কির মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছে। অধিবেশনের বাইরে দুই নেতা বৈঠক করেছেন।

মোদি জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামানোর জন্য ভারত সব রকম চেষ্টা চালাবে। জেলেনস্কিকে সাহায্য করার কথাও বলেছেন মোদি।

 

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষ নেয়নি। মধ‌্যবর্তী অবস্থান ধরে রেখেছে। জাতিসংঘে যুদ্ধসংক্রান্ত সমস্ত ভোট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে। এই প্রথম সরাসরি মোদি ইউক্রেনকে সমর্থনের কথা বললেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী এদিন বক্তৃতা করতে উঠে জানিয়েছেন, পরমাণু যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কোনো দেশই জয়ী হতে পারে না। তাই ইউক্রেন যুদ্ধ যেন কোনোভাবেই সে পথে না হাঁটে। হিরোশিমা এবং নাগাসাকির উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। জাপানি সাংবাদিকদের বক্তব্য, এই সম্মেলন করে দেশের প্রধানমন্ত্রী মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন। যেভাবে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা জাপানের মানুষ ভালো চোখে দেখেছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে