NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

যুদ্ধাপরাধ : যশোরের বাঘারপাড়ার ৪ জনের রায় যেকোনো দিন


খবর   প্রকাশিত:  ১১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:০৮ এএম

যুদ্ধাপরাধ : যশোরের বাঘারপাড়ার ৪ জনের রায় যেকোনো দিন

ঢাকা: যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় যেকোনো দিন। এ মামলায় উভয় পক্ষের চূড়ান্ত শুনানির পর আজ বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীর তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম একই সঙ্গে আমজাদ মোল্লারও আইনজীবী।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, 'চূড়ান্ত যুক্তিতর্কের পর মামলাটির রায় অপেক্ষমাণ রেখে আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে। যেকোনো দিন রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।'

২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। শেষ হয় ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল। ওই দিনই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিরা হলেন মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। আসামিদের মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিচার চলাকালে পলাতক অবস্থায় আসামি নওশের বিশ্বাস মারা গেলে তাকে মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোরের বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতি করলেও স্বাধীনতার পর ভোল পাল্টে আমজাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। 

যশোরের বাঘারপাড়া থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।