NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের ছেলে


খবর   প্রকাশিত:  ১১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:২৪ এএম

ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের ছেলে

দশকের পর দশক ধরে চলছে ইরান ও ইসরায়েলের শত্রুতা। প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশ দু’টি একে অপরের সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত। এছাড়া শুরু থেকেই ইরানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে আসছে ইসরায়েল।

আর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ইরানের ক্ষমতাচ্যুত শাহের নির্বাসিত পুত্র। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইরানি শাহ। সোমবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের নির্বাসিত পুত্র চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল সফর করবেন বলে ইসরায়েলের সরকার রোববার জানিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলে এই সফরের জন্য ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের নির্বাসিত পুত্রকে ‘সর্বাধিক সিনিয়র ইরানি ব্যক্তিত্ব’ বলেও অভিহিত করেছে ইহুদি ভূখণ্ডটির সরকার।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত শাহের অধীনে ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে একসময় বেশ উষ্ণ ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। যদিও ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর থেকে উভয় দেশ একে অপরের শত্রু হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত শাহের নির্বাসিত ছেলে রেজা পাহলভির এই সফরের উদ্দেশ্য ‘ইসরায়েল ও ইরানের জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং তেহরানের ক্ষমতাসীন আয়াতুল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ বিরোধিতা প্রকাশ করা।’

ইসরায়েলি বিবৃতিতে পাহলভির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ইরান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হলে ইসরায়েল এবং আমাদের আরব প্রতিবেশীদের সাথে তেহরানের সম্পর্ক পুনর্নবীকরণ করতে চাইবে। আমার মতে, সেই দিনটি আগের চেয়ে কাছাকাছি।’

আসন্ন এই সফরের সময় পাহলভি ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক হোলোকাস্ট স্মারক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলেও জানানো হয়েছে।


১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লবের পর সেখানে ধর্মীয় নেতারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ইরানের সেই সব নেতারা ইসরায়েলকে বর্জন করার আহ্বান জানান। মূলত সেসময় ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান।

ইসরায়েল অবৈধভাবে মুসলমানদের ভূমি দখল করে রেখেছে বলে মনে করে তেহরান।

এদিকে ইসরায়েল তার অস্তিত্বের জন্য ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখে থাকে। ইসরায়েল সব সময় বলে এসেছে, ইরানের অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত হবে না। এর পাশাপাশি ইসরায়েলের নেতারা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের যে বিস্তৃতি সেটা দেখেও উদ্বিগ্ন।