NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ৬, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

আফগানিস্তানের হাতে ধরাশায়ী বাবরহীন পাকিস্তান


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম

>
আফগানিস্তানের হাতে ধরাশায়ী বাবরহীন পাকিস্তান

বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিকে ছাড়াই দল ঘোষণা করে সমালোচনার মুখে পড়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এরপর শাদাব খানের নেতৃত্বে তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামে। যেখানে বাবরদের অভাব হাড়েহাড়ে টের পেল পাকিস্তান। মাত্র ৯২ রানে পাকিস্তান ম্যাচ হেরে বসে ৬ উইকেটে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে দুবাইয়ের শারজায় বোলিং সহায়ক উইকেটে আগে ব্যাট করতে নামে শাদাবের দল। লড়াই তো দূরে থাক, অল্প পুঁজি নিয়ে তারা আগেই হারের শঙ্কায় পড়ে যায়।

ম্যাচের শুরু থেকেই ধীরগতিতে ব্যাট করতে থাকে পাকিস্তান। ১৭ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। আফগানদের নির্দিষ্ট কোনো বোলারের ওপর নির্ভর করতে হয়নি। ৪ অভিষিক্ত ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তান সব বোলারের সামনেই নড়বড়ে ছিল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করা ইমাদ ওয়াসিম খেলেন ৩২ বল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিপরীত এই ইনিংসে অবশ্য টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দায়ও রয়েছে। এই অলরাউন্ডার নামার আগেই ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল শাদাবের দল।

ব্যাটারদের এমন নিষ্প্রভ ইনিংসে নির্ধারিত ওভার শেষেও পাকিস্তান মাত্র ৯২ রান তোলে। আফগানদের হয়ে ফজলহক ফারুকি, মুজিব-উর-রহমান ও মোহাম্মদ নবী দুটি করে উইকেট নেন।

এদিকে, ৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ অনেকটা জমিয়ে তুলেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। ৪৫ রানেই আফগানদের প্রথম ৪ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান। এরপর মোহাম্মদ নবী ও নজিবউল্লাহ জাদরানের ৫৩ রানের জুটি আফগানিস্তানকে জয় এনে দেয়। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৮ রান করে ম্যাচসেরা হন নবী। নজিবউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১৭ রান করে।

এদিন আফগানদের ব্যাটিংও ছিল ধীরগতির। বোলিং পিচ, সহজ লক্ষ্যও এর কারণ হতে পারে। অবশ্য শুরুতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে তারা চাপেও পড়েছিল। তবে নির্ধারিত ওভারের ১৩ বল বাকি থাকতেই তারা জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। পাকিস্তানের সুপার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ‍সুযোগ পাওয়া অভিষিক্ত পেসার এহসানউল্লাহ নেন ২ উইকেট।

টি–টোয়েন্টি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম জয়। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা।