NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

মিয়ানমারে চিরস্থায়ী মানবাধিকার সংকট সৃষ্টি করেছে জান্তা: জাতিসংঘ


খবর   প্রকাশিত:  ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:১১ পিএম

>
মিয়ানমারে চিরস্থায়ী মানবাধিকার সংকট সৃষ্টি করেছে জান্তা: জাতিসংঘ

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর থেকে ‘চিরস্থায়ী মানবাধিকার সংকট’ সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত রাখতে ইচ্ছাকৃতভাবে জান্তা এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার প্রতিবদেনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে এই প্রতিবেদন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জান্তার নির্দেশে ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রদেশে নির্বিচারে বিমান হামলা, গোলা বর্ষণ ও গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে সেনা সদস্যরা। জান্তার এই ঘন ঘন হামলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং চরম মানবেতর অবস্থায় এখন দিন কাটছে তাদের।

এছাড়া দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে জান্তাবিরোধী যত সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন সক্রিয় আছে, তাদের মূলোৎপাটন করতে গোয়েন্দা তৎপরতা, খাদ্য ও রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডও জারি রেখেছে ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকের তুর্ক শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘ধারাবাহিক ও চুড়ান্ত দায়মুক্তির সুযোগ নিয়ে মিয়ানমারে যা খুশি— তা ই করছে জান্তা। আন্তর্জাতিক কোনো নীতি কিংবা বাধ্যবাধকতাকে পাত্তা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন তারা বোধ করছে না।’

‘যদি জরুরি ভিত্তিতে দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে নিকট ভবিষ্যতে অবর্ণনীয় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে মিয়ানমার।’

জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়ডা জানতে টেলিফোন ও ইমেইলের মাধ্যমে জান্তা মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু তারা কেউই সাড়া দেননি।

মুখপাত্ররা অবশ্য অতীতে বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, মিয়ানমারের শান্তি ও নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখা সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব এবং সামরিক বাহিনী কোনো নৃশংসতা বা সহিংসতা করছে না। তাদের দাবি, রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসীদের দমন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আইনসঙ্গত অভিযান চালাচ্ছেন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মিয়ানমার শাখার প্রধান জেমস রোদেহাভের শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ মুহূর্তে মিয়ানমারের ৭৭ শতাংশ এলাকায় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চলছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর।

‘এর আগে কোনো সময়ে বা পরিস্থিতিতে এত ব্যাপক ও বিস্তৃত সংঘাত দেখেনি মিয়ানমার,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন তিনি।