NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে


খবর   প্রকাশিত:  ০৭ জানুয়ারী, ২০২৪, ০২:৫৫ এএম

>
স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

রাজধানীর কদমতলী জিয়া সরণি এলাকায় ফাহমিদা ফারুকী এশা (২৩) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আল ইমরান সাব্বিরের (৩৬) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা ওমর ফারুক বাদী হয়ে কদমতলী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত ফাহমিদার বাবা ওমর ফারুক অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়েকে আমার জামাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

তিনি বলেন, আমার মেয়ে ফাহমিদার সঙ্গে সাব্বিরের আট বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্নভাবে আমার মেয়েকে তার স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। সাব্বির পরকীয়া করত। গত ২২ তারিখে রাত ৩টার দিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাসায় এসে আমার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে আমার ছোট মেয়েকে ফোন দিয়ে ফাহমিদা জানায়, তার স্বামী তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য টাকা পাঠাতে বলে। এরপর মেয়ের জামাই আল ইমরান আমার স্ত্রীকে ফোন করে বলে দুই নাতনিকে বাসায় নিয়ে আসতে সে আমার মেয়েকে নিয়ে কলেজে পরীক্ষার জন্য যাবে। পরে আমার স্ত্রী বাসায় গিয়ে আমার নাতনিদের নিয়ে আসে।

নিহত ফাহমিদার বাবা বলেন, বিকেলে আমার স্ত্রী মেয়ের ফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, জামাইকে কল দিলে সে রিসিভ করে না। পরে সন্দেহ হলে সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় মেয়ের বাসায় যায়। আমার সাব্বিরের কাছে মেয়ের কথা জানতে চাইলে জানায় সে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু আমার স্ত্রী দরজা খুলে দেখে আমার মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার স্ত্রীর কল পেয়ে দ্রুত আমি ঘটনা স্থলে যাই। এরপর তাকে (সাব্বির) সেখান থেকে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে সে একটি নাটক সাজায়। এ ঘটনায় আমার মেয়ের স্বামী আল ইমরান সাব্বিরসহ পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছি।

ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সহযোগিতায় সাব্বির পালিয়ে যায়। মামলা হলেও আমরা পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। যেহেতু আমাদের অভিযোগ আছে তাকে আটক করা উচিত ছিল। পুলিশের সামনে থেকে সে পালিয়ে গেল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমারসাহা জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। মেয়েকে হত্যার অভিযোগ করে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের বাবা একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।