NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর : জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবে এবারও ভোট দিল না ভারত


খবর   প্রকাশিত:  ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:১৪ এএম

>
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর : জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবে এবারও ভোট দিল না ভারত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে একটি শুক্রবার একটি রেজল্যুশন পাস করেছে জাতিসংঘ; এবং বরাবরের মতো এবারও সেই রেজল্যুশনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিন্দাসূচক এই রেজল্যুশন উপস্থাপনের পর পরিষদের ১৪২টি সদস্যরাষ্ট্র এটির পক্ষে ভোট দেয়, ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ভারতসহ ৩২টি সদস্যরাষ্ট্র এবং রাশিয়াসহ ৭ সদস্যরাষ্ট্র রেজল্যুশনের বিপক্ষে ভোট প্রদান করে।

ভারতের ব্যতীত আরও যেসব দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো চীন, ইরান, ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আর বিপক্ষে ভোট দেওয়া ৭ সদস্যরাষ্ট্র হলো রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, ইরিত্রিয়া, মালি ও নিকারাগুয়া।

গত এক বছরে এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কয়েকবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা বা রেজল্যুশন উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘ; কিন্তু প্রায় ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে দক্ষিণ এশিয়ার সুপার পাওয়ার বলে পরিচিত ভারত।

যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে ভারত অবশ্য একবারও সরাসরি রাশিয়াকে সমর্থন করে কোনো বক্তব্য দেয়নি, বরং দেশটির প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, রাষ্ট্রদূত ও সরকারি কর্মকর্তারা কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের ভিত্তিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সমস্যা সমাধানের পক্ষে বলে আসছেন।

এই অবস্থানের জন্য অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের থেকে ব্যাপক চাপ সহ্য করতে হয়েছে ভারতকে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন একাধিকবার প্রকাশ্যে ভারতকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও জাতিসংঘে ‘সঠিক কাজ’ করার আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু ভারত তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। তারপর থেকেই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্রতা স্থাপন করে দেশটি।

সেই হিসেবে ভারত ও রাশিয়ার মৈত্রীর বয়স ৭ দশকেরও বেশি। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে আসছে ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে হ্রাসকৃত মূল্যে ভারতকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে আসছে রাশিয়া। ফলে অন্যান্য দেশে যখন জ্বালানি তেলের জন্য হাহাকার চলছে, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, তখনও তুলনামূলকভাবে অনেক স্থিতিশীল আছে ভারতের অর্থনীতি।

কেবল অস্ত্র-জ্বালানিই নয়, নিজেদের সবচেয়ে স্পর্ষকাতর ইস্যু কাশ্মির নিয়েও রাশিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ ভারত। কয়েক বছর আগে কাশ্মির ইস্যু সমাধানে জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মাধ্যমে পরিষদে এ বিষয়ক প্রস্তাবও উত্থাপন করেছিল দেশটি।

কিন্তু পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়ার আপত্তির (ভেটো) কারণে আর পাস হয়েনি সেই প্রস্তাবটি।

শুক্রবার নতুন নিন্দা রেজল্যুশনের ওপর যখন ভোট আহ্বান করা হয় সাধারণ পরিষদে, সে সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ বলেন, ‘কোনো (নিন্দা) প্রস্তাবনা মানুষের জীবনের চেয়ে বেশি মূল্যবান নয়।’