NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

মসজিদ ,গির্জা ও মন্দির ইবাদতের জায়গা


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:১৩ এএম

মসজিদ ,গির্জা ও মন্দির ইবাদতের জায়গা
 
 

বিধাতা  মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার   ইবাদত ও দাসত্ব করার জন্য। যার যার ধর্ম মতে কেউ গির্জা ,মন্দির ও মসজিদে যেয়ে ইবাদত/ প্রার্থনা করেন। কিন্তু আমাদের ক'জনার ইবাদত কবুল হয়? আমরা কি জানি ইবাদতের সঠিক নিয়ম-কানুন? 

 

রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন পৃথিবীর মধ্যে সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদ। আর সর্ব নিকৃষ্ট স্থান বাজার। মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর। মুসল্লিরা মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ বিভিন্ন ইবাদতে মগ্ন থাকেন। মসজিদকে মুমিনরা অত্যন্ত ভালোবাসেন, মসজিদের সঙ্গে মুমিনের যেন আত্মার সম্পর্ক। ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, সাহাবায়ে কেরামগণ মসজিদে প্রবেশ করলে অনেক সময় অবস্থান করতেন আর বাজারে গেলে খুব জলদি জলদি ফিরে আসতেন। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, ‘যার অন্তর মসজিদের সঙ্গে থাকে সে আরশের ছায়ায় স্থান পাবে।’ এই মসজিদে প্রবেশের জন্য যেমন তাকিদ দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনি মসজিদের আদব রক্ষা করার জন্যও হাদিসে তাকিদ এসেছে। পৃথিবীর কোনো রাজা বাদশাহর দরবারে যেতে হলে যদি পূর্ণ আদব রক্ষা করতে হয় তাহলে যিনি সমস্ত পৃথিবীর বাদশাহ তার দরবারের আদব রক্ষা করা তো আরো বেশি জরুরি।

মসজিদে আসে নামজ আদায় করার জন্য। নামজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। নামজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে তা আদায় করেও অনেকে পাপের ভাগী হবে। আর তা হবে ভয়াবহ জাহান্নাম। তাহলে কীভাবে সে নামাজ আদায় করলে আল্লাহর পুরস্কার পাওয়া যাবে, কীভাবে আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) তা আদায় করতেন, একমাত্র সেটাই আমাদের অনুকরণ করতে হবে। তিনি আমাদের নির্দেশ করে বলেছেন, “তোমরা সেভাবে নামাজ আদায় কর যেভাবে আমাকে নামাজ আদায় করতে দেখেছ।” (বুখারী- ৬৩১,

আজ জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম সেন্টার ভিলের একটি হোটেলে। আমার পাশের ভদ্রলোক সেল ফোনে ম্যাসেজ নিয়ে মগ্ন, তারপাশের জনের ফোন রিং টোন বেজে উঠছে, তার একটু দূরে মনে হল মসজিদ কমিটির কেউ হবে উনার ফোন রিং হওয়ার সাথে সাথে উনি ধরলেন এবং কথা বললেন? এরপর আজান চলাকালিন সময় পাশের দুজনের কথামালা জমে ঊঠেছে একজনের বউর MRI আজ তাড়াতাড়ি যেতে হবে আরকজনের ছেলেকে অনেক সময় দিতে হয় তাই নিজে খেলাধুলা করতে পারে না। এরই মাঝে আরেকজনের ফোন রিং হলে উনি সাথে সাথে বন্ধ করে দেন। কিন্তু উনাদের কথা চলছে তো চলছেই। আমি কয়েকবার উনাদের দিকে তাকালাম এইভেবে হয়ত উনারা বুজবে কাজটা উনারা ঠিক করছে না। কিন্তু কোন পরিবর্তন দেখা গেল না। বরং মনে হল আওয়াজ আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছে। একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছে আজ কি ছুটি। তিনি উত্তর দিলেন Monday to Friday কাজ করে। Saturday and Sunday ছুটি। আজ জুমার দিন শুক্রবার তিনি ভুলে গেছেন?

মসজিদ সবাই আসে ইবাদত করার জন্য আর ইবাদত করতে হয় এক মনে ধ্যান মগ্ন হয়ে। তাই যখন ইমাম খুতবা শুরু করবেন তখন মসজিদে উপস্থিত ব্যক্তির খুতবা শুনা ওয়াজিব। হোক সে ইমামের নিকটবর্তী বসে কিংবা দূরে, এমন কাজ যার দ্বারা খুতবা শুনার মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় সে কাজ করা গুনাহের শামিল। যেমন—খাওয়া, পান করা, কথাবার্তা বলা, চলাফেরা করা, তাসবীহ পড়া, সালাম দেওয়া, সালামের উত্তর দেওয়া বা শরীয়তের কোনো মাসায়েল বলা এ সমস্ত কাজ যেমন নামাজরত অবস্থায় নিষেধ, তেমনি খুতবার সময়ও নিষেধ। 

মসজিদে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এখন অসহনীয় ও অমার্জনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশেষ করে নামাজের সময় মোবাইলের রিংটোনের কারণে ইবাদতের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। অনেক সময় তা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে মোবাইল ফোন বন্ধ করা উচিত। ভুলবশত যদি মোবাইল খোলা থাকে আর নামাজরত অবস্থায় রিংটোন বেজে উঠে, তাহলে এক হাত ব্যবহার করে বা নিজ নামাজ ছেড়ে দিয়ে হলেও অপর মুসল্লিদের কথা ভেবে হলেও মোবাইল বন্ধ করে দিতে হবে। 

এমনকি নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া করা একদমই উচিত নয়। এই সম্পর্কে মহানবি (সঃ) এর একটি হাদিস আছে যার সারমর্ম এই—তিনি সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, যদি তোমরা নামাজ আদায়কারির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার গোনাহ সম্পর্কে জানতে তাহলে ৭০ হাজার বছর অপেক্ষা করতে তার পরও নামাজের সামনে দিয়ে যাতায়াত করতে না।

ড.আব্দুস সাত্তার

ওয়াশিংটন ডি সি

লেখক ও সাংবাদিক