NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

জিনপিংয়ের সঙ্গে সংলাপ চান জেলেনস্কি, পাঠালেন চিঠি


খবর   প্রকাশিত:  ০২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম

>
জিনপিংয়ের সঙ্গে সংলাপ চান জেলেনস্কি, পাঠালেন চিঠি

টানা প্রায় ১১ মাস ধরে ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন শুরুর পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও হামলা-পাল্টা হামলার জেরে ইউক্রেনের অনেক ফ্রন্টই এখনও উত্তপ্ত।

এই পরিস্থিতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সংলাপ করতে চান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ লক্ষ্যে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চীনের নেতা শি জিনপিংকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিটি সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে চীনা প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বুধবার জেলেস্কির স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কা জানিয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বারবার শি জিনপিংয়ের সাথে এই আশায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন যে, (আগ্রাসন বন্ধে) বেইজিং হয়তো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর তার প্রভাব ব্যবহার করবে।

জেলেস্কির স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি ইঙ্গিত এবং সংলাপের আমন্ত্রণ। আমি খুব আশাবাদী যে, এই আমন্ত্রণে সাড়া পাবো।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করার জন্য বেইজিং সফর করেছিলেন। তবে ঠিক সেই সময়ই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো ইউক্রেনের সীমান্তে জড়ো হচ্ছিল। উভয় নেতা সেসময় তাদের অংশীদারিত্বে ‘কোনো সীমা’ না রাখার ব্যাপারে সম্মত হন।

আর তার কিছুদিন পরই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে বেইজিং নিজেকে নিরপেক্ষ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, একই সময়ে মস্কোর সাথে বিশেষ করে জ্বালানিখাতে সম্পর্ক গভীরতর করেছে।

তবে কিছু বিশ্লেষক ইঙ্গিত দিয়েছেন, চীন শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে পদক্ষেপ নিতে পারে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গত বছরের সেপ্টেম্বরে ‘সংকট আরও ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া ইউক্রেন সংঘাতের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগও তুলে ধরেছিলেন তিনি।

এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন।